গাঙচিলের বাসর স্বপ্ন

মোয়াজ আফসার

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৫:৪৭ অপরাহ্ণ

গাঙচিলের বাসর স্বপ্ন
apps

দিনকয়েক হলো আছি বেক্সহিল-অন-সি। লন্ডন থেকে তিপ্পান্ন মাইল দূরের ছোট্ট একটি প্রাচীন সৈকত শহর । খুবই মনোরম, দুৃষ্টিকাড়া। দিনমান ধরে এ্যাডওয়ার্ডিয়ান স্থাপত্যের বিল্ডিংগুলো বাতাসের আছে। কেন জানি মনে হয়, শহরের ধুধু বাতাস এখানকার মানুষের ভেতর জন্ম দেয় অন্যরকম এক অনুভূতি। প্রকৃতির উজাড় করা মমতা মাখানো বাতাস লুটোপুটি খায় মানুষের হৃদয়ে। মানুষগুলো হয়ে ওঠে অসাধারণ, মন সমুদ্রের মতো হয় বিশাল। ওদের আচার আচরণে এ বিশালতা পরখ করা যায়। এ শহরের মানুষ আর শহরটি আমাকে প্রচণ্ড রকমের সুগ্ধ করে। আমি ব্যাকুল হই, হামেশা ঘুরে বেড়াই শহরের এক প্রান্ত ধরে অন্য প্রান্তে। ফুটপাথ মাড়িয়ে একাকী হাটি।

দোকানে দোকানে টু মারি। এখানে বেশ ক’টি চ্যারিটি শপ ওদের রকমারি পসরা সাজিয়ে বসে হররোজ। ওগুলোতে প্রায়ই আমি হানা দিই। এতে করে পরিচিত এক সুখ হয়ে উঠি দোকানিদের কাছে। দেখা হলেই কুশল বিনিময় হয়, হাই-হ্যালো তো হয় ঝালমুড়ি-চানাচুরের মতো। ওসব দোকানগুলোতে সব পাওয়া যায়। কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে জুতো-পলিস ঘটি-বাটি সব। সেকেন্ডহ্যান্ড, দামও খুব কম। চল্লিশ পঞ্চাশ পাউন্ডের একটি জিনিষ পাঁচ দশ খসালেই হাতে চলে আসে। আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হৃদির বায়না একটা টেডি বিয়ার আর ছেলে রিজভীর বড় ডায়ালের রিস্টওয়াচ। একটা শপে ঢুকি। দোকানি এক অর্ধ বয়সী মহিলা। তার সাথে আরো একজন মহিলা কাজ করেন। দু’জনই একবয়সী। বেশ রোমান্টিক।

আমাকে দেখলেই তরতর করে উঠে এসে গল্পের আসর জমিয়ে দেন। দোকানে আসেন খুব সেজেগুজে। স্কার্ট টপসের সাথে কালো বল প্রিন্টের স্কার্য গলায় পেঁচানো। কানে বড় বড় দুল। যে পারফিউম ব্যবহার করেন তার ম ম করা গন্ধ দোকানে ঢুকতেই এক পশলা বৃষ্টির মতো ধুয়ে দেয়, মস্তিষ্কে মৌতাতের নেশা ছড়ায়। এসব দোকানগুলোর বেশিরভাগ নারীরাই চালায়। দোকানি মহিলাকে ছেলেমেয়ে দু’টোর আবদারগুলো শুনালে মহিলা আমার কথায় ক্যামন যেন একধরণের ইন্টারেস্টেড হয়ে ওঠেন।

জিজ্ঞেস করেন বাচ্চাদের বয়স কত, দেখতে ক্যামন ইত্যাদি। আমার ওয়ালেটে রাখা একটি ছবি বের করলে মহিলা খুব আমাদের সাথে ছবিটি হাতে নেন, মমতা মাখানো চোখে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। সুগ্ধতা ছড়িয়ে হাসেন। হাসিগুলো স্বিগ্ধ হয়ে ওঠে মুখে উচ্চারিত সো কিউট সো নাইস শব্দে। মনে হয় যেন দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা কোন আপনজনের ছবির সাথে তার সাক্ষাৎ। ইংরেজরা কোন গিফট পেলে বা ছবি দেখে সো নাইস,সো কিউট,বিউটিফুল এই সুন্দর সুন্দর শব্দগুলো বলার জন্য যেন ঠোটে ঝুলে থাকে কচু পাতার টলমলে পানির মতো। হালকা ঠুকাইতেই ঝরঝর হয়ে ঝরে। ইংরেজ পুরুষদের ওয়ালেটে স্ত্রী সন্তানের ছবি রাখা পৃথিবীতে ভালবাসার সুন্দরতম একটি প্রকাশ । স্ত্রীকে ডার্লিং, বেবি ইত্যাদি প্রেম মিশ্রিত কত নামে ওরা ডাকে। আবার এই ডাক স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে চলে যায়’র মতো উধাও হতেও খুব সময় লাগে না। ভালবাসার প্রকাশ তখোন ফিকে হয়ে আসে। সঙ্গে ওয়ালেটের ছবিরও বদল হয়। রেডিমেড কাপড়ের দোকানে ঢুকলে মন আমার আনচান করে কাপড়ের কারিগরটিকে জানার। তাই হাতে তুলে নিয়ে লেভেলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এর মেকিং কান্ট্রি খুঁজে। বুকটা ফোলে ওঠে যখন দেখি মার্কস এন্ড স্পেন্সার বা বার্টনের মতো নামীদামী দোকান সয়লাব আমাদের কাপড়ে, সার্ট-টিশার্ট ট্রাউজারের গায়ে সাঁটা লেভেলে খোদাই করা মেইড ইন বাংলাদেশ। হুট করেই আমার চোখ উড়ে যায় উনিশ সেকেন্ডের একটি সিমেন্টের বিজ্ঞাপন চিত্রে । ভেসে ওঠে গতর খাটা এক নির্মাণ শ্রমিকের সমুখ। বিদেশে কর্মরত ওই শ্রমিকটি গর্বভরে ওর বসকে জানাতে অধীর,মেইড ইন বাংলাদেশ স্যার।

ইওর বিল্ডিং মাই কান্ট্রি সিমেন্ট। ঠিক সেরকম করে আমিও বলতে ব্যাকুল হই, মেইড ইন বাংলাদেশ স্যার।রেডিমেড গার্মেন্টসের দুনিয়ায় বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশের লগে টক্কর দেয় আমাদের কাপড়। জারা, ওয়ালমার্ট, গ্যাপ, নেক্সট, এইচএন্ডএম এর মতো বিশ্বখ্যাত চেইনশপগুলো যেমন এ তালিকায় আছে, তেমনি বিশ্বের নামি পোষাক ব্র্যান্ড জর্তিও আরমানি, ক্লেইনও আস্থা রাখে আমাদের কাপড়ে। ছোট্ট এই শহরটির অনেকের সাথে আলাপ জমে ওঠে মাঝে মাঝে। আমাদের দেশকে জানার অনেক আগ্রহ ওদের। আমার আগ্রহ প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে। ডায়ানা ছিলেন বিশ্বমানবতার শান্তির পায়রা। সাধারণ মানুষের মনের রাণী হয়ে ওঠার জন্যে ভাবেননি। তার মৃত্যু আমাকে বেশ ভাবায়, সন্দেহের কষ্ট পীড়া দেয়। এ মৃত্যুকে গাড়ি এক্সিডেন্টে মৃত্যু বলে আমি মেনে নিতে পারিনা। পাপারাতভিজিদের তাড়া খেয়ে টানেলে গাড়ী এক্সিডেন্ট এটি ছিলো রীতিমত একটি সাজানো নাটক। তাই ইংরেজ সাধারণ কাছে জানতে চেয়েছি প্রিন্সেস ডায়ানা’র মৃত্যু রহস্য। এটা স্রেফ নিজের মনকে প্রবোধ দেয়ার একটা মনস্তাত্ত্বিক ওয়েন্টমেন্ট।

কারো কাছে কোন উত্তর পাইনি। তবে দেখেছি ওদের হৃদয়ের উচ্ছ্বাস। ভাষাহীন চোখে খোঁজে পেয়েছি ওদের হৃদয়ের রাণীকে। এ শহরটি ছবির মতো সুন্দর। এমনই রুপ তার, বাইরের শহর থেকে লোকজন এখানে বেড়াতে আসলে হঠাৎ করেই মনের গহিনে শিরশিরে অনুভূতিটা ফস্কে বেরিয়ে আসতে পারে, ইস্! এ শহরটা যদি হতো আমার শহর । লন্ডন থেকে ট্রেনে চড়লে এক ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিটের পথ। বেড়াতে যাবেন। যাওয়ার আগে কাউকে খুঁজছেন যার কাধে তার রেস্টুরেন্টের দায়িত্বটা ক’টি সপ্তার জন্য অর্পণ করা যায়। সুইট ভাই আমার খালাতো ভাই। আমি এখানে ওখানে আওয়ারা ঘুরে বেড়াই। আমাকে ফিট করে দিলেন ওখানে। আমাকে কাজে পৌঁছে দিতে শ্যালীপতি জমান ভাই তার বিএমডব্লিউতে স্টার্ট নিতেই হুড়মুড় করে সুইট ভাই আর আমার একমাত্র শ্যালিকা রুপু এসে গাড়িতে চেপে বসে বিদায়ী এ যাত্রায় সঙ্গী হতে। চুয়ান্ন মিনিটে আমরা বেক্সহিল পৌঁছি। আমাকে রেখে যাওয়ার সময় শ্যালিকার

ভেজা দুটো চোখ দেখে আমার ভেতরটাও হঠাৎ ধক করে ওঠে এই ভেবে বন্ধু-পরিজনহীন ক’টি সপ্তা এখানে কাটাতে হবে নিরলে। কাজে যোগ দিয়ে অবশ্য দু’টো ফায়দা হাছিল হয় আমার। পকেটের দৈন্যদশা কিছুটা দিশা পায় সাথে বোনাস হিসেবে সমুদ্রের রুপ লাবণ্য চেখে দেখার সুযোগও কপালে জুটে। বদরুল ভাইয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পাই মাত্র তিনদিন। এ দিন তিনেকে রেস্টুরেন্টের এটা ওটা আমাকে বুঝিয়ে দেন। চমৎকার আমোদে এক মানুষ বদরুল ভাই। গলাতে গানের দারুন সুর। গুনগুনিয়ে গান করেন সারাক্ষণ। আমিও গান করি শুনে বল্লেন, ফিরে এসে একটা কনসার্টের আয়োজন করবেন। লন্ডন থেকেও নিয়ে আসবেন আরো কয়েকজন গায়েন। যেন একটা খুশবু মাখামাখি করে। আ্যারোমা ছড়ায় বাসমতী চালের । ব্যাবসাটির ওউনার বদরুল ভাই একা। রেস্টুরেন্টটি সমুদ্রের একেবারে লাগোয়া। দুই মিনিট হাটলে সমুদ্র। ‘বাসমতী’ সমুদ্রের পার ঘেঁষা তিন তলা একটা বিল্ডিংয়ের নীচতলায়। রেস্টুরেন্টের নিয়ে ছড়িয়ে দেয় দিগন্তজুড়ে।

ঠিক যেন বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে বন্ধুর বাড়ীর ফুলের গন্ধ আমার বাড়ী আসের মতো। ওই বিল্ডিংয়ের একেবারে ওপরের লফ্টু রুমে হয় আমার থাকার বন্দোবস্ত। রুমে একটি সিঙ্গেল বেড, একটি টেবিল আর কাপড় ঝুলিয়ে রাখার ব্যাবস্থা। কাঠের ফ্লোর। সানরুফে দেড়-দুই ফুট স্কোয়ারের ভেলাক্স উইন্ডো। উইন্ডো দিয়ে আকাশ দেখা যায়। ডানা মেলে উড়ে যাওয়া পাখি দেখা যায়। মাঝে মাঝে জোছনার আলো এসে ঘর ভাসিয়ে দেয়। দিনের বেলা উইন্ডোর পুরু করে ভরে তোলে সমস্ত রুম। বিদুৎ বাতির আর দরকার হয় না। পয়লা রাত। কাজ শেষ করে রুমে ফিরি। কিন্তু রুমে ঢুকে মনটা একেবারে তেনাতেনা হয়ে ওঠে। আবিষ্কার করি আমি কোন এক নির্জন দ্বীপে। আশেপাশে কেউ নেই। সঙ্গী সেলফোনটা হাতে নিয়ে কথা বলি কিছু বন্ধু-স্বজনের সাথে। তাতে মন একটু রিল্যাক্স হলে আস্তে আস্তে বালিশে মাথা গুঁজি। টের পাই আমার এই ছোট্ট দ্বীপে যেন আঘাত হানে বিশাল বিশাল ঢেউ। সমুদ্র দেখা যায় রেস্টুরেন্টে দাড়িয়েই। রাতে বালিশে কান পাতলে শোনা যায় সমুদ্রের উত্থাল ঢেউয়ের গর্জন। চলে এপার ভাঙা ওপার গড়ার খেলা। শরীর অত্যন্ত টায়ার্ড। কোনকিছুকে আমল না দিয়ে ঘুমে ডুব দিই। ভোরে ঘুম ভাঙে হাতুড়ি বাটালির ঠকাঠুকির মতো কিছু শব্দে।

মনে হলো বিল্ডিংয়ে রিপেয়ারিংয়ের কাজে মিস্তিরিরা হাত চালায়। চোখ ঘষে সানরোফের কাঁচের উইন্ডোতে চেয়ে দেখি এক ঝাঁক গাঙচিল বসে মনের আনন্দে নাচানাচি করে। ওদের আনন্দে আমার ঘুমের ঘটে সর্বনাশ। আমার দশা হয় বালকদের মজা করে ঢিল ছুড়া পুকুরের ব্যাঙের মতো। গাঙচিল সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই। কিন্তু আমার ওপর যে নিপীড়ন ওরা চালিয়ে গেল, তাতে আমার ভাবনার খিড়কি পথে উঁকিবুঁকি করতে লাগলো ওদের নিয়ে লেখার দারুন আগ্রহ। আমি খুব সচেতনভাবে অনেকটা গোয়েন্দা চোখে ওদের ওপর নজর রাখি। অনুসরণ করে দেখি- মোটরযান চলা রাস্তায় কোন কিছুকে পাত্তা না দিয়ে শরীর সৃদু হেলিয়ে দুলিয়ে ওরা হাটে রেচ্পে মডেল কন্যাদের কেট ওয়াকের মতো। ঘরের রোফের ওপর বসে আড্ডা মারে, সৈকতে দল বেধে ওড়াওড়ি করে।

যেন আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে । ওদের দেহের কাব্যিক সৌন্দর্যটা আমাকে সবচে’ বেশি আকর্ষণ করে, চোখ ফেরানো দায় হয় কোন সুন্দরী তরুণীর দিকে অপলক চেয়ে থাকা যুবকের মতো। গাঙচিল দেখতে খুবই চমৎকার। অনেকটা পায়রার মতো। এরা বিভিন্ন প্রজাতির হয়। ফলে দেহের রঙও হয় ভিন্ন। আমার সামনে যে প্রজাতি, বুকের নীচ ধবধবে সাদা, ডানার উপরি অংশ আর লেজ ঈষৎ কালো। ঠোট এবং পা দু’টোর রঙ চোখ জোড়ান, মনে হয় লাল আর হলুদ রঙের মিশেলে কেউ রাঙিয়ে দিয়েছে।পাখিদের ডাক খুব মিষ্টি শোনালেও গাঙচিলের গলার স্বর বড় কর্কশ।

ওদের পাখাগুলো বেশ লম্বা ও শক্তিশালী। পায়ের পাতাজোড়া হাসের মতো। যা দিয়ে সহজে সাঁতার কাটতে পারে, দীর্ঘ সময় উড়তে পারে আকাশে। বাতাস থাকলে দু ব্যালেন্স। আর ডানা চালাতে হয় না। নিশ্চিন্ত মনে উড়ে চলে রিমোটে চালানো ড্রোনের মতো। মাছ এদের প্রধান খাবার। মাছ শিকার করতে আকাশ থেকে শাণিত চোখ রাখে জলে। হঠাৎ জেট বিমানের মতো সাঁই করে জলে নেমে গিয়ে ঠোঁটে তুলে নিয়ে আসে জীবন্ত মাছ। টার্গেট টুটে না। দুই ঠোটের মাঝখানে দেখা যায় মাছের ছটফটানি। সমুদ্র উপকূলের আবর্জনা ঘেটে ছোট ছোট পোকামাকড় ও এদের খাবার। গাঙচিলরা বাসা বীধে পাথরের খাঁজে। শুকনো শেওলা দিয়ে বাসা বানিয়ে ওখানে ডিম পাড়ে। সময় পেলেই আমি সমুদ্রের পারে ছুটে যাই। বসে থাকি দীর্ঘ সময়। এ ক’দিনে সাগরের পারটা আমার ভাল লাগার একটা স্পট হয়ে উঠেছে।

ক্যামন যেন একটা টান অনুভব করি। ভাবি এরকম একটানা খাসিয়া সম্প্রদায়ের মতো। খাসিয়ারা বিয়েতে কনেযাত্রী নিয়ে বরের বাড়ী যায় এবং বিয়ে করে বর নিয়ে আসে কনের ঘরে। দেখতে দেখতে এক স্বী গাঙচিল দুই ডানা প্রসারিত করে বাতাসের তীব্রতা ছত্রখান করে পা দিয়ে আলতো নাচের ভঙ্গীতে বালিয়াড়ির কাছে ঘেঁষে। পুরুষ গাঙচিলের মাথার ওপর অনবরত চক্কর মেরে ওড়তে থাকে। গলায় আওয়াজ তোলে ওর উপস্হিতি ও উদ্দেশ্য জানান দেয়। পষ্ট বোঝা যায় ও পুরুষ গাঙচিলটিকে ইমপ্রেস করতে চাইছে। ওর এই নাচানাচির ডিসপ্লে আর কন্ঠের আওয়াজ সবকিছু পুরুষ গাঙচিলকে লক্ষ্য করে। অবশেষে পুরুষ গাঙচিল ইমপ্রেসড হয়ে মাথা উঁচু করে তাকায়। আকাঙ্িক্ষিত সঙ্গী যোগাড়ের আনন্দে ডানা ঝাপটিয়ে প্রকাশ করে উল্লাস। মনে মনে মিলন হলে কেউ কোন হেলদোল না দেখিয়ে স্বপ্নের বাসর সাজাতে বিভোর কাপল একসাথে উড়াল দেয় উপযুক্ত নিরাপদ জায়গার খোঁজে ।

Development by: webnewsdesign.com