চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া ছোট্ট একটি ভাইরাস নিমিষেই পুরো পৃথিবীকে স্থবির করে ফেলেছে। দীর্ঘ সাত মাস যাবত পুরো পৃথিবী করোনা প্রকোপে আতঙ্কিত। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনাভাইরাস এর বিস্তার রোধে ২৬ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন।
প্রায় দুই মাসের বেশি সময় এই সাধারণ ছুটিতে অফিস, আদালত, গার্মেন্টস, কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ ছিল। কিন্তু এই ভাইরাসটির স্থায়ী সমাধান এখনো না পাওয়ায় সীমিত পরিসরে অফিসসমূহ খোলা হয়েছে। তবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এখন সবকিছু এখন স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে।
কোভিড-১৯ থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা এবং মাক্স পরা। কিন্তু গণপরিবহনের দিকে তাকালে এর উল্টো পরিস্থিতি আমরা লক্ষ করে থাকি। বাস, ট্রেন, লঞ্চে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। নির্দিষ্ট সিট সংখ্যা চেয়ে বেশি মানুষ যাতায়াত করে গণপরিবহনে। তাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও তা তাদের কানে বা গলায় ঝুলতে দেখা যায়। যাত্রীদের তোলার সময় কোন রকম হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে না এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছেনা। যার ফলে করোনাভাইরাস দ্রুত বিস্তার লাভ করছে।
সাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আইন থাকলেও তার প্রয়োগ হচ্ছেনা যথাযথ। সংক্রমণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী কেউ এ আইন অমান্য করে মাস্ক পরিধান না করলে বা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বাহিরে চলাচল করলে ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারে। তাই নিজেকে নিরাপদ রাখতে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখতে সচেতনতায় হতে পারে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়। তাই গণপরিবহনে কিংবা ভ্রমণে সাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
লেখক- নুসরাত মাহাজাবিন
শিক্ষার্থী, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
Development by: webnewsdesign.com