খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৪ জানুুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে মানববন্ধন করে তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কার খেলা বন্ধ কর’, ‘আবিষ্কার নয়, বহিষ্কারে আছি’, স্বৈরাচারী প্রশাসন ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘কথায় কথায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী বহিষ্কার বন্ধ কর’, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু বহিষ্কারের জন্য?’, সহ বিভিন্ন ফেস্টুন দেখা যায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামিমুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রায়হান বাদশা রিপন, আব্দুর রউফ, জি কে সাদিক, মোস্তাক আহমেদ, হেনায়েত কবির। এছাড়া সাকিব হোসাইন, শ্যামলি তানজিন অনুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের মাধ্যমে প্রশাসন এটিই দেখিয়ে দেয় যে, তার শিক্ষার্থীদের কোন দায়ভার নিতে চায়না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসে কোথায় থাকবে এ ব্যপারে প্রশাসন কিছু ভাবছে না। আমরা চুপ থাকলে প্রশাসন আরো জেঁকে বসবে। প্রশাসন কি একটা সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে বোঝা মনে করে আমাদের তাড়িয়ে দিতে চায়?’
খুবি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তারা বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো একটিও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় নাই, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও যায় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় যদি শিক্ষার্থীদের যায়গা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কথা বলে বহিষ্কার হবে কেন? বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেন বহিষ্কারের কারখানা হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে স্বৈরাশাসন জেঁকে বসেছে তারই প্রমাণ খুবি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ।’ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ একাত্বতা পোষণ করে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সন্ধ্যার পর থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম (১৭ ব্যাচ) ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন।
Development by: webnewsdesign.com