খুনির ফাঁসি চাই – শিমুর বাবা

বুধবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

খুনির ফাঁসি চাই – শিমুর বাবা
apps

আলোচিত চিত্রনায়িকা শিমুর গ্রামের বাড়ি বরগুনার আমতলীতে শিমুর লাশ উদ্ধারের করে পরিচয় নিশ্চিতের পর থেকেই শোকের মাতম নেমে এসেছে শিমুর নিজ জেলা বরগুনায় আমতলীর শহরের অলিগলিতে চলছে শোক আলোচনা আর চলছে আফসোস। সবার একই প্রশ্ন কেন এমন একটি মেয়েকে মেরে ফেলেছে খুনীরা । স্থানীয়রা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

১৯৯৬ সালে পারিবারিক কারনে শিমুর মা রাশেদা বেগম চার ছেলে মেয়ে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে বসবাসের সময় পরিচয় হয় চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের সাথে। ১৯৯৮ সালে চিত্র জগতে প্রবেশের পর আমতলীর ছোট শহরের মেয়ে শিমুর নাম রুপালী পরদার বদৌলতে হয়ে যায় রাইমা ইসলাম শিমু। একের পর এক বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের পর শিমুর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমতলীসহ সাড়া দেশে।

শিমুর মা এবং তাদের পরিবার ঢাকা চলে গেলেও পারিবারিক কারনে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী আমতলীর জমি বিক্রি করে চলে যান যান নিজ গ্রাম উত্তর তক্তাবুনিয়ার বাড়ীতে। পরবর্তীতে ওই বাড়ি ছেরেও বর্তমানে বসবাস করছেন হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে। একবার সে হলদিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সোমবার রাত ১০ টায় ছেলেদের ফোন এবং টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন তার মেয়ে শিমু খুন হয়েছে। ওই রাতে আমতলী থেকে ঢাকা যাওয়ার কোন বাহন না থাকায় মঙ্গলবার খুব সকালে শিমুর বাবা মো. নুরুল ইসলাম রাঢ়ী রওয়ানা দেন ঢাকার উদ্দেশ্যে।

রুপালি (শিমু) বাবা নুরুল ইসলাম রাঢ়ী মুঠোফোনে বলেন, হাউ মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর পর কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার মাইয়াডারে অনেক আদর স্নেহ দিয়া বড় করছি হেই মাইয়াডারে ওরা মাইর‌্যা হালাইছে। আমি আর কিছু চাই না শুধু আমার মাইয়ার হত্যা কারীদের ফাঁসি চাই।

Development by: webnewsdesign.com