এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার কেবিন ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। স্বজনদের মধ্যে তাঁর ছোটো ছেলের স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার কন্যা ছাড়া আপাতত আর কেউ যাচ্ছেন না। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সরাও আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন। সার্বক্ষণিক শক্তিশালী পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোবস ও স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন হাসপাতাল থেকে জানান, ‘ম্যাডামের’ অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। কোনো অবনতিও হয়নি। করোনা বা ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে সতর্কতার একটা অংশ হিসেবেই মূলত হাসপাতালের সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ক্লোজ মনিটরিং করছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছেন। তাদের পরামর্শেই মূলত ম্যাডামকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ‘ম্যাডামের’ শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। সবগুলো প্যারামিটার আগের মতোই ওঠানামা করছে। গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে কেবিনে ভর্তির পর পরই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা পরিচালনা করছে।
Development by: webnewsdesign.com