খালেদা জিয়ার একমাত্র মুক্তির পথ আইনি প্রক্রিয়া : তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৭:৪০ অপরাহ্ণ

খালেদা জিয়ার একমাত্র মুক্তির পথ আইনি প্রক্রিয়া : তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
apps

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার একমাত্র মুক্তির পথ আইনি প্রক্রিয়া। আদালতের মাধ্যমে যদি জামিন পান নতুবা উচ্চ আদালতের মাধ্যমে খালাস পেলে তার মুক্তি মিলবে।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না। বিএনপি আজ খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য যে সমাবেশ ডেকেছে, এই সমাবেশ আইন ও আদালতের বিরুদ্ধে। এই সমাবেশের মাধ্যমে আইন-আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন বিশ্বের সামনে রোল মডেল। তখন যারা পাকিস্তান পার্টি করেছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের বাংলাদেশের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না। তারা এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পারায় ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল। আজও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে না পেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমরা দেখেছি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যার বলি উৎসব। তারা মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি ও জামায়াত সুযোগ পেলেই সাপের মতো ফণা তুলে বসে। তারা সুযোগ পেলেই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ সমাবেশের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কিছুদিন আগে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এর আগে নয়াপল্টনে নিজেদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে‌।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয়। আমাদের দেশেও ইভিএম পদ্ধতি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তথমন্ত্রী বলেন, বিএনপিতে অনেক নেতা আছেন অনেক শিক্ষিত তাদের মুখে এ রকম কথা মানায় না।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি সারাহ বেগম কবরী বলেন, এ দেশটি সবার। শুধু আওয়ামী লীগের নয়। ৬৪ জেলার মানুষের মধ্যে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে বঙ্গবন্ধু কী চেনেনা বা জানেনা। দেশে বঙ্গবন্ধু এমন একটা মানুষ ছিলেন যার প্রতি কারো অভিযোগ নেই। বঙ্গবন্ধুর নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে। বাবার লালিত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেশে এমন একটা সময় আসবে, যখন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কাউকে বলে দিতে হবে না।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি সারাহ বেগম কবরী। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

Development by: webnewsdesign.com