ক্যাম্পাস বহিরাগতমুক্ত করতে হঠাৎ করেই তৎপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কোনো কারণ বলতে রাজি নয়। তবে পুলিশ বলছে, বহিরাগতদের মাধ্যমে যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য এমন ব্যবস্থা। ক্যাম্পাসে সব ধরনের অপরাধ বন্ধে পুরোপুরি বহিরাগতমুক্ত করার দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
মাইকিং করে বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। সরে যেতে বলা হয় হকার এবং বাইরের গাড়িকেও। অন্য সময় এমনটা দেখা যেত সন্ধ্যার পর। এখন ক্যাম্পাসে ভিন্নচিত্র।
গেলো ক’দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ঠিক কি কারণে নিরাপত্তার কড়াকড়ি আর বহিরাগতমুক্ত করার চেষ্টা, তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তবে কয়েকটি গণমাধ্যমের খবর, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যদিও কোনো হুমকি নেই বলে দাবি পুলিশের।
ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘অছাত্ররা এসে যেন কোনো অস্থিতিশীল করতে না পারে তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কিছু সদস্য নিরাপত্তার জন্য বাড়ানো হয়েছে।’
বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন থেকে একটি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্যাম্পাসে ছিনতাই ও চুরির ঘটনাও ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস এখন বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে। বহিরাগতমুক্ত করতে প্রশাসনের আরো কঠোর হওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক বলেন, ‘২-১ বছর আগে হুমকি এসেছে ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থিতিশীল করতে পারলে হয়তো রাজনৈতিক পট পাল্টানোর প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সকলের নজর থাকে ঢাবি’র প্রতি।’
অনলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস হচ্ছে। তবে হল খোলা ও পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
Development by: webnewsdesign.com