কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ | ৪:২২ অপরাহ্ণ

কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
apps

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেছেন, সাড়ে ৯ কোটির বেশি টিকা আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি। সবচেয়ে দামি টিকা- মডার্না, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিনামূল্যে পেয়েছি। সোমবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদন প্রক্যাখ্যান করে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিকাসহ এর আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে বাংলাদেশ সরকারের মোট খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্লেনে আনা-রাখাসহ সব ব্যয়ই রয়েছে। আর বাকি ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা ফ্রি পেয়েছি; যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডোজ টিকা।ফলে সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা বাংলাদেশের মানুষকে ফ্রি দিতে পেরেছি।

মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা প্রথমে ভারত থেকে কিনেছি। চায়না থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে টিকা কিনেছি। ১০ কোটির মতো টিকা কিনেছি।’ সাড়ে ৯ কোটির ওপর টিকা বিনামূল্যে পেয়েছি বলেও জানান তিনি।

বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

করোনা টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টিআইবি বলেছে, ল্যাব সংখ্যা খুব কম। এ তথ্যটি ভুল দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুরুতে মাত্র একটা ল্যাব ছিল। সেখানে এখন ৮৭০টি বিভিন্ন পর্যায়ে ল্যাব হয়েছে। বেশিরভাগ সময় বিনামূল্যে টেস্ট করিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টর টেস্ট করেছে মাত্র ৩০ শতাংশ। বাকি ৭০ শতাংশ সরকারি ল্যাবে হয়েছে। ৫ হাজার টেস্ট হয় এখন, কখনও ৫০ হাজারও করেছি। তখন তো চাপ বেশি পড়ে, তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারার কথা না।

টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো। প্রায় ১৩ কোটি টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছি। সেকেন্ড ডোজ দিয়েছি ১১ কোটি ৬০ লাখ এবং বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ শতাংশ। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।’

Development by: webnewsdesign.com