সরকারি চাকুরীতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল এবং কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবরোধ করে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১১ টার দিকে কলেজ গেটের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সড়কে বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। প্রায় আধাঘণ্টা সড়কটি অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীরা এসময় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন ।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম বলেন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থী সারাবছর পড়াশোনা করে চাকুরীর বাজারে কোটার কাছে হেরে যাচ্ছে। ভালো চাকরি পাচ্ছেন না। অথচ একজন অযোগ্য লোক কোটা থাকায় চাকরীর বাজারে টিকে যাচ্ছে। আমরা চাই সবাই মেধার ভিত্তিতেই চাকরী পাক ।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন রাষ্ট্রে সরকারি চাকুরীতে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকা অযৌক্তিক। কোটা যদি থাকে তাহলে বৈষম্য থেকেই যায়, কোন ধরনের বৈষম্য যাতে এই বাংলায় না হয় এটা আমাদের চাওয়া তাই আমরা কোটা সংস্কার চাই।
হাবিবা খাতুন নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমরা নারী হয়ে ও কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছি। নারীরা এখন আর পিছিয়ে নাই, আমাদের কোটা দিয়ে চাকুরী করার দরকার নাই, মেধা দিয়েই চাকরী করতে চাই। প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে আজ অবস্থান নিয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে আমরা আরোও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।
রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী দিল সেতারা সেবা বলেন, আমারা কোটা প্রথার সংস্কার চাই। যাতে মেধাবীরা সুযোগ পায়। সংবিধানে সমতা রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা সংস্কারের ঘোষণা করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকারি চাকরিতে একটি বিশেষ শ্রেণীকে যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
Development by: webnewsdesign.com