কুড়িগ্রামে শখের বশে সুখের পায়রা পুষে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন স্টেশন পাড়ার সৌখিন পায়রা চাষী সুমন পারভেজ। পাখি পোষার শখ থেকে তিন বছর আগে ১২ জোড়া বিদেশী জাতের পায়রা কিনে নিজ বাড়িতেই খামার গড়ে তোলেন বিনোদনের জন্য। খাঁচার ভেতর নানান জাতের বিদেশী পায়রা। বাকুম বাকুম ডাকে মুখরিত চারদিক, এ যেন খুঁজে পাওয়া অনাবিল প্রশান্তির নীড়। সেই খামার বদলে দিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা।
এখন তার খামারে স্ত্রী-পুরুষ মিলে রয়েছে একশত জোড়া পায়রা। এসব পায়রা পালাক্রমে গত ২ বছর ৭ মাস থেকে ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন শুরু করেছে। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী পায়রা দুটি ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার ১৭ থেকে ১৮ দিন পর তা দেয়া ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে ফুটফুটে বাচ্চা। ২৬ থেকে ২৮ দিনে সেই বাচ্চা পূর্ণতা লাভ করে। সাধারণত একটি স্ত্রী পায়রা এক বছরে ১০ থেকে ১২ জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করতে পারে।
পায়রা চাষী সুমন জানান- শান্তির প্রতীক পায়রা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকলে রোগ বালাই কম হয়, শস্যদানা জাতীয় খাবারের সহজলভ্যতা ও বাংলাদেশের জলবায়ু এই সৌখিন পাখি পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। উচ্চ দামের এসব পায়রার রয়েছে বৈচিত্র্যময় নাম। যেমন-বাগদাদী হোমার, বিউটি হোমার, ব্লাক হোমার, হোয়াইট রেচার হোমার, জ্যাকোবিন, লোটান, কমেলিয়ান পটার, ব্লাক পটার, ইয়োলো পটার, ফ্যানটেল, লাক্ষা, ব্লাক লাক্ষা, লাহোরী, সিরাজী, ক্যাপাচুইনা, বোম্বাই, শাটিন, ম্যাগপাই, রেড ম্যাগপাইসহ তার খামারে রয়েছে প্রায় ২০ জাতের পায়রা।
জাতভেদে প্রতি জোড়া বেবি পায়রা তিনি সৌখিন পাখি প্রেমীদের কাছে বিক্রি করছেন ৩ হাজার থেকে বিশ হাজার টাকায়। বর্তমানে পায়রার খোপে লুকিয়ে আছে সুমনের বর্নিল স্বপ্ন যা থেকে তিনি খরচ বাদে গত বছর আয় করেছেন ১০ লাখ টাকা। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সুমন বড় পরিসরে করতে চান তার পায়রার খামার। যাতে নিজের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান মিলবে অন্য বেকার যুবকদের।
Development by: webnewsdesign.com