কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার, আটক ১

বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল ২০২১ | ১২:০৫ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার, আটক ১
apps

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর এক শিশু শিক্ষার্থী (৮) মধ্য বয়সী এক লম্পটের হাতে ধর্ষনের শিকার হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের রামধন দাশপাড়া গ্রামে। শিশুটি গুনাইগাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গ্রামটিতে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে, ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা একদল পুলিশ নিয়ে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মহুবর রহমান (৫০) কে গ্রেফতার করে।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের কিছু আগে গুনাইগাছ ইউনিয়নের রামধন দাশপাড়া গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায়ের শিশু কন্যা স্কুল না থাকার সুবাদে পরিবারের কথা মতো তার এক বান্ধবীসহ তাদের বাড়ির পাশেই পরিত্যক্ত জমিতে গরুর জন্য ঘাস সংগ্রহ করতে যান। সেখানে আগে থেকেই গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য অবস্থান করছিল একই গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র মধ্য বয়সী লম্পট ধর্ষক মহুবর রহমান। দুই শিশুকে দেখে ধর্ষক কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের কাছাকাছি চলে আসে এবং তাদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থীকে দিনে দুপুরে জাপ্টে ধরে। এ দৃশ্য দেখে শিশু শিক্ষার্থীর বান্ধবী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দৌড়ে বান্ধবীর বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার বাবা ও মাকে জানায়। এই সুযোগে ধর্ষক মহুবর জোরপূর্বক শিশুটিকে পার্শ^বর্তী একটি পানি নিষ্কাশনের নালায় নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে তাকে সেখানে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর শিশুটি কোন রকমে বাসায় ফিরে পরিবারের লোকজনের সামনে তার উপর পৈশাচিকতার সবিস্তার বর্ণনা দিলে প্রতিবেশীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উলিপুর থানার এসআই হারিছুর রহমান প্রধান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ধর্ষিতার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। আদালতে আটক ধর্ষক মহুবর রহমানের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী গ্রহণ করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com