কুড়িগ্রামে ইউপি নির্বাচনে গেজেট প্রকাশ বন্ধে ও ভোট পুনঃগণনার জন্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন দাখিল

সোমবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২২ | ৫:২৫ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামে ইউপি নির্বাচনে গেজেট প্রকাশ বন্ধে ও ভোট পুনঃগণনার জন্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন দাখিল
apps

ইউপি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে পুলিং এজেন্টের স্বাক্ষর জাল করে নাটকীয়তা এবং বিলম্বে ফলাফল ঘোষণা করার অভিযোগে গেজেট প্রকাশ বন্ধে এবং ভোট পুনঃগণনার জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনের আবেদন করেছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য প্রার্থী এরশাদুল হক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে জেলার ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী এবং সদর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে অংশগ্রহণ করে এরশাদুল হক প্রাপ্ত ভোট-৫৪৯ (প্রতীক-মোরগ) ও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আউয়াল প্রাপ্ত ভোট-৫৫০ (টিউবওয়েল) এবং শামছুল হক মন্ডল (সাবেক ইউপি সদস্য) তালা প্রতীক শূন্য ভোট পান মর্মে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ রেমাউল হক ভোটকেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করে বের হয়ে পথিমধ্যে দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করে সটকে পড়েন।
সারাদিন ভোট শেষে পুলিং এজেন্টের ভূয়া স্বাক্ষর, নানা নাটকীয়তা এবং বিলম্বে ফলাফল ঘোষণায় এরশাদুল হক (মোরগ প্রতীক) প্রার্থীর কাস্ট হওয়া ৩৩টি প্রকৃত ভোটকে নষ্ট ভোট দেখিয়ে ১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। পরে তিনি ২৯ নভেম্বর ভোট পুনঃগণনার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন। এতে ওই মেম্বার প্রার্থী আশানুরুপ প্রতিকার না পেয়ে গত ১২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রিট আবেদন দাখিল করেন। যার নাম্বার ১২৭০৯।
কথা হলে পরাজিত প্রার্থী এরশাদুল হক (মোরগ প্রতীক) বলেন-সকাল ৮টায় ভোট শুরু হলেও রাত ৯টায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে এসে প্রিজাইডিং অফিসারকে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আব্দুল আউয়াল (প্রতীক টিউবওয়েল) এর সমর্থকরা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ফলাফল ঘোষণা করতে বাধ্য করেন। ভোট পুনঃগণনা হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো। প্রধান নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে গেজেট প্রকাশ স্থগিত এবং ভোট পুনঃগণনার জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছি। আশা করছি উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাব।
৮৭নং ভোট কেন্দ্র পার্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার রেমাউল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং কোন প্রকার মন্তব্য করতে আপত্তি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তবে উচ্চ আদালত যদি ভোট পুনঃগণনার রায় দেন তা আমরা বাস্তবায়ন করব।
উল্লেখ্য, উক্ত ইউনিয়নে সংর্ঘষের ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহজামাল সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ এবং ১নং ওয়ার্ডে পুনঃরায় ভোট গ্রহণে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী ১নং ও ৪নং ওয়ার্ডে পুনঃরায় ভোট গণনারও আবেদন করেছেন।

Development by: webnewsdesign.com