কুড়িগ্রামের শিবরাম থেকে শেরেবাংলা নগর নৌকার মাঝি জননেতা জাফর আলী

বুধবার, ০৭ অক্টোবর ২০২০ | ৩:০৫ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামের শিবরাম থেকে শেরেবাংলা নগর নৌকার মাঝি জননেতা জাফর আলী
apps

আলহাজ্ব মোঃ জাফর আলী শুধুই নাম নয় কুড়িগ্রাম জেলার একটি জীবন্ত কিংবদন্তি। যার রাজনৈতিক জীবনবন শুরু কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামে। বাবা মৃত কনছার উদ্দিন ব্যাপারী ও মা মৃত জাহেরন নেছার স্বপ্ন ছেলে অনেক বড় সরকারী কর্মকর্তা হবে কিন্তু বাল্যকাল থেকে অঘাত দেশপ্রেমের মানুষটি যোগ দেন রাজনীতিতে, সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যোগ দেন দেশ পুর্নগঠনের কাজে। নির্বাচিত হন কাঁঠালবাড়ী ওয়ার্ডের রিলিপ কমিটির সদস্য ১৯৭২-৭৩ ইং, অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সহিত তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন এবং সবার প্রশাংসা অর্জন করেন। এর পর আমৃত্য রাজনীতি করার শপথ নিয়ে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩-৭৪ পর্যন্ত। এরই মধ্য কুড়িগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদের” জিএস”এর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩-৭৪ ইং,কুড়িগ্রাম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৪-৭৫ ইং, মহকুমা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৭৪ ইং সনে।

কুড়িগ্রাম সদর থানা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৭৮ সনে এবং একই বছর কর্মদক্ষতায় মহকুমা আওয়ামীগের সদস্য নির্বাচিত জন। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীগের সদস্য ১৯৮৪ সালে এবং একই সাথে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৯০ সালে, অদ্যাবধি জেলার একক,অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আলহাজ্ব মোঃ জাফর আলী জনগনের সুখ-দুঃখের স্বপ্নের সারথি, বিপদে-আপদে পাশে থেকে মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর নিরন্তন প্রচেষ্টাই তাকে বার বার জনগনের বিজয় মাল্য পরিয়েছে। কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বিরতিহীন ভাবে ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর হতে ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে কুড়িগ্রাম জেলা তথা দেশে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

২০১০ সালের ২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের ২৬ ও কুড়িগ্রাম ২ আসনে স্বাধীনতার পর নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৮ই এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসাবে মহান সংসদে শপথ গ্রহন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১,ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কুড়িগ্রামে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেন যার ফলে কুড়িগ্রাম জেলার অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে যায়। ২০১৩ সালে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে নিশ্চিত বিজয় জেনেও সরে দাঁড়ান নির্বাচন থেকে। শক্ত হাতে মোকাবেলা করেন বিএনপি জামায়াতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও ধব্বংসাত্ব রাজনীতিকে।বিএনপি জামায়াতের হাত থেকে জনগনের জান মাল রক্ষা সদা সতর্ক থাকার এবং তাদের তান্ডবলীলা মুক্ত করে কুড়িগ্রাম জেলায় শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত করার অবদান স্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাফর আলীকে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে নির্বাচিত করে।

সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীগের একক প্রার্থী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দল মতের উর্ধে নিরুঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে ২০১৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর প্রথম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে ইতিহাস রচনা করেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ঘরে থাকতে পারেননি প্রায় প্রত্যকদিন সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তিগত ত্রান সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে এবং সরকারের অর্পিত দায়িত্ব অধ্যাবধি যা সুনামের সহিত পালন করে যাচ্ছেন। শিবরাম থেকে জাতীয় সংসদ, জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসে যিনি এতটা বন্ধুর পথ সহজেই পাড়ি দিতে পারেন তিনিই তো আগামীর একমাত্র ভরসা,শেষ আশ্রয়স্থল,কুড়িগ্রাম ২ আসনের কান্ডারী।

Development by: webnewsdesign.com