কুষ্টিয়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফিলতি

কুমারখালীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে একের পর এক অভিযোগ

বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৭:৪৩ অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফিলতি
apps

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ভবন নির্মাণ এবং বর্ধিত অংশের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এলাকাবাসী।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আফসার ট্রেড কর্পোরেশনের মজনুর রহমান। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুরুজ বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের সভাপতি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ছাদ ঢালাইয়ে নিম্নমানের বালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের ম্যানেজারকে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে জানানো হলেও তিনি তা শোনেন নি।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজা বলেন, যারা নির্মাণ কাজ করেন এবং বোঝেন তারা জানিয়েছেন ছাদ ঢালাই কাজে যে বালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে তার মান ঠিক নেই। তিনি বলেন, আমরা চাই কাজটি সঠিকভাবে করা হোক। সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব দিয়ে যেন বিষয়টি দেখেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম খান বলেন, নির্মাণ কাজ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। তদারকি কমিটি করে দেয়া হয়েছে তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। স্কুলটির ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি অনিরউদ্দিন বলেন, কাজের মান নিম্নমানের বালি ও খোয়ার মান খুবই খারাপ কিছু বলতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে ঠিকাদারের লোক। কাজ দেখাশোনার জন্য সহকারী প্রকৌশলী সার্বক্ষণিকভাবে কাজের তদারকি করার কথা থাকলেও তিনি কাজের কাছে যায়না বলে অভিযোগ তুলেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এলাকাবাসী।

গত কয়েকদিন আগে দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর মিরপুর গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জড়িয়ে কাজের অনিয়ম বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তা থেমে নেই এখনো চলছে সেই কাজ। এভাবে কুষ্টিয়ার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে একটির পর একটি ভবনের কাজ সম্পূর্ণ অনিয়মের মধ্য দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর হাত গুটিয়ে বসে আছেন কেন? বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সাহেব আলী বলেন, খোয়ার মধ্যে কিছুটা ডাষ্ট থাকেই এটা কোন সমস্যা না, অন্যদিকে বালি ল্যাব টেস্ট করিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাদ ঢালাইয়ের আগের দিন বালি এনে ল্যাব টেস্ট কখন করানো হলো এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।

তবে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতরের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল করিম বলেন, আমি সরেজমিন বেশ কয়েকবার কাজ পরিদর্শন করেছি কোন অনিয়ম আমার নজরে পড়েনি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আফসার ট্রেড কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী ওহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয় নি। তবে কাজের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী মহল।

Development by: webnewsdesign.com