স্প্রিং বলের মতো বড় লাফ দিচ্ছে পিয়াজের দাম। আগের দিনের চেয়ে সোমবার কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে পিয়াজের দাম। কুষ্টিয়া পৌর বাজারে পিয়াজের আড়তে দেশি ভাল পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১১৮ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগেও এই পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
কুষ্টিয়ার বাজারে সোমবার সকালে পিয়াজের দাম শুনেই মূখভঙ্গি পরিবর্তন হয়ে যেতে দেখা গেছে অনেকের।
ভোক্তা আসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যখন যেটার খুশি দাম বেড়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে আমাদের অনাহারে মরতে হবে।
খন্দকার ফারুক বলেন, বাজার মনিটিরিং না করলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। বাজারে কাউকে আসতে দেখি না।আড়তের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে দাম বাড়িয়ে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করায় পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়াও আমদানি কম।
শহিদুল ইসলাম আড়তের ব্যাপারি শাহিন ইসলাম বলেন, কৃষকদের কাছে আর পিয়াজ নেই। তাই দাম আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, মুড়িকাটা পিয়াজ উঠতে আরও মাসখানেক লাগবে। এদিকে আবার রাজনৈকিত অস্থিরতা। গাড়ি ভাড়া বাড়বে, মাল পঁচে যাবে। দাম আরও বাড়তে পারে বলেন তিনি।
শুধু পিয়াজের দামই নয়, কুষ্টিয়ায় বেড়েছে সরু চালের দাম। মিনিকেট এখনও ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মিটিং করেছেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা। তার দপ্তরে এই মিটিংয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সেখানে সর্ব সম্মতিক্রমে সোমবার থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা বলা হয়। কিন্তু বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোন কার্যকর অভিযানের খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত খান বলেন, গাড়িতে সমস্যা থাকায় আজ অভিযান চালানো যায়নি। আগামী দিন থেকে জোরালো অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, দেশের যে ৫টি জেলায় বেশি পিয়াজ উৎপাদন হয় কুষ্টিয়া তার একটি। গ্রীষ্মকালীন পিয়াজের আবাদ বাড়িয়ে এখানে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষি বিভাগ।
Development by: webnewsdesign.com