জন্মগতভাবে বা জন্মের পর অনেক শিশুই এডিনয়েড রোগে ভোগে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই বাবা-মা তা বুঝতে পারেন না। আর শিশু তার সমস্যা বুঝিয়েও বলতে পারে না। এতে করে দিন দিন সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে এই রোগের কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা দেখে শনাক্ত করা যায়। আপনিও আপনার শিশুর পরতি নজর রাখুন। এই লক্ষণগুলো দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাহলে জেনে নিন লক্ষণগুলো কী কী।
আর তার আগে জেনে নিন এডিনয়েড রোগ কি?
নাকের পেছনে এডিনয়েড গ্রন্থি থাকে। এটি গঠনগত দিক থেকে টনসিলের মতো। নিচের যে কোনো একটি বা একাধিক সমস্যা হলে তা এডিনয়েডের কারণ হতে পারে।বাচ্চার মুখ হ্যাঁ করে ঘুমায়। রাতে ঘুমের মধ্যে শব্দ হয় বা নাক ডাকে। এ সমস্যা বেশিমাত্রায় হলে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসতে পারে। যাকে চকিং বলে। ঘুমের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য দম বন্ধ থাকতে পারে। যাকে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া বলে।
এডিনয়েড রোগের লক্ষণ-
শিশু ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভোগে। একবার সদি-কাশি হলে তা সহজে সারতে চায় না।সমস্যা গলার পেছন থেকে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানে চলে যায়। ফলে ঘন ঘন কানে ব্যথা, কানে ইনফেকশন, কানের পর্দা ফেটে যাওয়া, কানের ভেতর পানি জমা বা গ্লুইয়ার সমস্যা হতে পারে।ঘন ঘন গলার ইনফেকশন, খুসখুসে কাশি, গলার স্বর বসে যাওয়া হতে পারে।শরীরের ভেতর অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য ঘুম ঘুম ভাব, পড়াশোনা ও স্কুলে অমনোযোগী হওয়া, বুদ্ধিমত্তা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। রাতে বিছানায় প্রস্রাবও করতে পারে।
করণীয়-
ঘন ঘন এডিনয়েডের এ সমস্যা হলে ১২-১৪ বছরেও এডিনয়েড স্বাভাবিক আকারে পৌঁছায় না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।এমন হলে লম্বা স্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়। তাতেও নিরাময় না হলে ছোট অপারেশনের মাধ্যমে ফেলে দিতে হয়।
Development by: webnewsdesign.com