প্রতিদিনের তালিকায় রাখতে পারেন কিশমিশ। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি একটি খাবার। আর যদি রাতভর ভিজিয়ে খেতে পারেন তাহলে তো শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে। নিয়ন্ত্রণে রাখবে কোলেস্টেরল।
ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করে হৃদয় ভালো রাখতে সাহায্য করবে এই কিশমিশ। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
এছাড়া, পানিতে ভেজানো কিশমিশ শরীরের পক্ষে উপকারি-
ব্লাড প্রেসার: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিশমিশ। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে।
রক্ত স্বল্পতা কমায়: রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিশমিশ যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিশমিশ হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিশমিশ খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তবে ভেজা কিশমিশ এবং তার জল নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিষমুক্ত শরীর: শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিশমিশ খান নিয়মিত। চারিদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিশমিশের পাশাপাশি কিশমিশ ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়: নিয়মিত কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিশমিশ খান। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তাঁরা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিশমিশ খেয়ে দেখতে পারেন।
Development by: webnewsdesign.com