কালো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক

রবিবার, ১৫ মে ২০২২ | ৫:০৩ অপরাহ্ণ

কালো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক
apps

অল্প সময়ে উৎপাদন ও ফলন বেশি, আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় মানিকগঞ্জে হাইব্রিড কালো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষক। সেই সাথে ভিন্ন রং হওয়ায় লেকজনের নজর কেড়েছে এই কালো ধান। বিভিন্ন এলাকার সাথে এবার পৌর এলাকার হিজুলী চকের কালো ধান নজর কেড়েছে জেলাবাসীর।

অনেকেই এই ধান এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন। কৌতূহলী লোকজন আগ্রহ নিয়ে জানতে চাচ্ছেন এটি কি জাতের ধান, ফলন কেমন, ভাত খেতে কেমন হবে। কালো ধান রোপণকারী হিজুলীর আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি সব সময় নতুন কিছু করতে চান।

একহাজার টাকা দিয়ে দুই কেজি কালো জাতের বীজ ধান এনে এবারই চাষ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুনেছি এই ধানের ভাত খেতে আগের দিনের আমন চালের মতো হবে এবং প্রোটিন বেশি। আরও তিন বিঘা ধান রোপণ করেছি। সেগুলিও গতানুগতিক না, বিভিন্ন জাতের যেমন বাসমতি, ৯১, ২৯ ইত্যাদি। আমি কৃষিতে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি।’

সাত্তার আরও বলেন, ‘গতবছর ফতেমা ধান রোপণ করেছিলাম, ফলন খুব ভালো। কিন্তু ভাত সুস্বাধু না হওয়ায় সেটির চাষ বন্ধ করে দিয়েছি। কালো ধানের ফলন মোটামুটি ভালই হয়েছে, অন্য ধানের তুলনায় সময়ও কম লেগেছে। এই সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা হবে। চাউল যদি ভাল হয় আগামিতে বেশি করে এই ধান রোপণ করবো। প্রতিদিন কালোধান দেখতে লোকজন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে, এতেই আমি সার্থক। ভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করেও আমি সফল হয়েছি। আমাকে দেখে লোকজন এগিয়ে আসবে, এতেই আমি খুশি।’

স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী স্বপন মিয়া বলেন, ‘কালো রংয়ের ধান আগে দেখি নাই। এ ধান দেখতে অনেকেই দূরদুরান্ত থেকে এখানে আসছেন।’ মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘আগে এ ধরনের ধান চাষ হতো না। এবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় কালো রংয়ের ধান চাষ হয়েছে।’

কৃষকরা জানান, ‘ফলন ভালো হয়েছে। সময় কম লাগার কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কালো রংয়ের হাইব্রিড ধান চাষ।’

Development by: webnewsdesign.com