কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ভাঙ্গারছেও গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন। ২৯ অক্টোবর উপজেলার মাইজবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ জহর মরহুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মাইজবাড়ি দাখিল সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তার এর নেতৃত্বে থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) লাল মিয়া ও পুলিশের একটি চৌকস দল রাস্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মাননা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাজিপুর উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস উদ্দিন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুস সালামসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও আত্মীয় স্বজন এবং জনসাধারণ।এ সময় মরহুমের স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সালাম, সিরাজগঞ্জ জেলা জামাতের আমীর মাওলানা মোঃ শাহীনুর আলম,উপজেলা আঃলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাইজবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তালুকদার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও মরহুমের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তার ভাই সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার সামস উদদীন।
উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন।তিনি মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ভাঙ্গারছেও গ্রামে ১২ আগস্ট ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন আর ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সালে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর ২ মাস ১৬ দিন। তার পিতা আজিজুর রহমান ছিলেন কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং মাতা হামিদা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। ৯ ভাই -বোনর তিনি সবার বড়। আবুল কালাম আজাদ ১৯৯০ সালে কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন এ পরিষদের দ্বিতীয় নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি মাত্র ১বছর ৪ মাস ২৮ দিন দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর উপজেলা পরিষদ বাতিল হয়ে যায়। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
Development by: webnewsdesign.com