কাজিপুরে প্রশাসনের উদ্যোগে ১২ শ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার অবসান

শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কাজিপুরে প্রশাসনের উদ্যোগে ১২ শ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার অবসান
apps

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১২ শ বিঘা জমি বছরে তিন ফসলে ফিরতে যাচ্ছে দীর্ঘ তিন বছর যুগ পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফলে। একটি খাল বা ড্রেনের অভাবে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ না থাকায় এসব জমিতে বছরে একটিমাত্র ফসল ফলাতে পারতেন কৃষকেরা। ফলে তাদের সংসারের অভাব ঘুচতো না।এই বঞ্চনার অবসানকল্পে জাইকা প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার কাচিহারা লক্ষীপুর বিলের মধ্যে ৫৯ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি ড্রেন নির্মাণ শুরু করেছে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস। সাত লক্ষ পয়ষট্টি হাজার টাকা বরাদ্দে নির্মিত ড্রেনটির পানি দক্ষিণে মূল খালে গিয়ে পড়বে।

শুক্রবার বেলা এগারটায় ড্রেনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।

এসময় ড্রেন নির্মাণ কাজে খুশি ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল বারিক জানান, আমার পাঁচবিঘা জমি। অথচ ধান দিয়ে বছর পাড়ি দিতে পারি না।অন্য জায়গার তিন বিঘা জমির কৃষকও আমার চেয়ে বেশি ধান পায়। ড্রেন হইলো, আর সমস্যা নাইকা। এহন আমিও তিন ফসল ফালাইতে পারমু।

লক্ষীপুর গ্রামের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাকী বলেন, আগে খাল ছিলো। জমিগুলোর ছিলো তিন ফসলী। কিন্তু ১৯৮৮ বন্যার পরে সব ভরাট হয়ে গেলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে তিনফসলী জমিতে মাত্র একটি ফসল ফলানো গেছে। ড্রেন পাকাকরণের ফলে এখন কৃষক জমিগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরে পাবেন। চালিতাডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব ফজলুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হাজার বিঘা জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বছরে তিন ফসল উৎপাদন হতো না।এখন থেকে এ সমস্যার সমাধান হবে। প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাই।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, এই ড্রেনটি এলাকার কৃষকদের একটি স্বপ্নের মতো। কাজটি ছোট কিন্তু এর ফলে কৃষক বছরে তিন ফসল ফলাতে পারবেন। এলাকা জলাবদ্ধতা মুক্ত হলো।

Development by: webnewsdesign.com