সিরাজগন্জের কাজিপুরে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই জমি থেকে পাট উত্তোলনের পর শুরু হয়েছে পাট বাজারজাতকরণ।উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নাটুয়াপাড়া হাটে যমুনা নদীর পাড়ে নৌকার উপরে জমে উঠেছে সোনালী আশ পাট বেচা-কেনা ।
উপজেলার চরাঞ্চলের জমিতে উৎপাদিত পাট বিক্রয় করতেএবং আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা পাট ক্রয়- বিক্রয় করতে এ হাটে আসে।বর্তমানে বাজারে পাটের ভালো দাম থাকায় উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।
যমুনা নদীর পাড়ে উপজেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্য বাহী নাটুয়াপাড়া হাটটি সপ্তাহে দুুদিন শনিবার ও বুধবার ভোরে পাটের হাট ছেয়ে যায়। বিক্রি উপযোগী সোনালী আশে উপজেলার চরাঞ্চলের জমিতে পাট উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষক – পাইকার- ক্রেতাদের হাঁক ডাকে জমে উঠেছে বেচাকেনা। ট্রলার নৌকা করে জামালপুরের সরিষাবাড়ি, বগুড়ার সারিয়াকান্দি,টাংগাইলের ভুয়াপুর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাট ক্রয় করতে পাইকাররা আসে এ হাটে। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেড়েছে চাহিদা ও দাম।
মন প্রতি পাট বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-৩৫০০টাকায়।এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।হাটের ক্রেতা- বিক্রেতা ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় এ সব তথ্য। সরিষাবাড়ি উপজেলার পাটের পাইকার সাইফুল ইসলাম বলেন, পাট কিনে এক নৌকা থেকে অন্য নৌকায় তোলা সহজ হয়।যোগাযোগের সুবিধা হয়।প্রতিহাটে তিনি ৪০- ৬০ মন পাট নৌকা থেকে ক্রয় করেন বলে জানান।চরগিরিসের পাটের ব্যাপারি রুবেল আলম বলেন, পাট টানে থেকে কিনে নৌকায় তোলা অসুবিধা হয়।
তাই নৌকা থেকে পাট কিনি।তিনি প্রতিহাটে ৬৯-৭০ মন পাট ক্রয় করেন। চরনাটিপাড়ার কৃষক আব্দুর রশিদ মন্ডল বলেন আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম ফলন ভালো হয়েছে,বিক্রি করে বেশ দাম পেয়েছি ।
হাট কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম মাস্টার বলেন, পাট কিনতে টাংগাইলের ভুয়াপুর, কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারি ও জামালপুরের মাদারগঞ্জ থেকে অনেক পাইকার পাট কিনতে আসে।প্রতি হাটে ১ থেকে ২ হাজার মন পাট ক্রয় – বিক্রয় হয়। হাট কমিটির সভাপতি, ইজারাদার ও নাটুয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চান বলেন,এ হাটে কাজিপুরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাট ক্রয়- বিক্রয় করতে পাইকাররা আসে। প্রতি হাটে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মন পাট ক্রয়- বিক্রয় করে। এবারের পাটের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, খরিপ ১/২০২০-২১ মৌসুমে ৫৫৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয় যার উৎপাদিত পাটের পরিমাণ ১২৭২৮ মেট্রিক টন।পাটের ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবে। কাজিপুর পাট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবু জোহা জানান, কাজিপুরে ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে ২০ মেট্রিক টন।
Development by: webnewsdesign.com