দেশে দৈনিক করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ সপ্তাহ পর আবার একশর নিচে নেমে এসেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এই সময়ে কারো মৃত্যু হয়নি। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৯ হাজার ২২২ জনে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩১৪ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১১ জুন ৭১ জন শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরদিন ১২ জুন শনাক্ত একশ ছাড়ায়, সেদিন শনাক্ত হয় ১০৯ জন। এরপর গত দুই মাস দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশর উপরেই ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার হয়েছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৫ জন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে। গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়।
Development by: webnewsdesign.com