করোনার নতুন ধরন নিয়ে আতঙ্ক না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ | ৭:০৭ অপরাহ্ণ

করোনার নতুন ধরন নিয়ে আতঙ্ক না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
apps

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে দ্রুত সংক্রমিত হয়। এ ধরনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হয়। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। এ থেকে বাঁচতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে এবং ভালো মানের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

ভারতে যুক্তরাজ্যফেরত ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দেখা গেছে। নতুন এ ধরনের ভাইরাসটি ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ায়ও পাওয়া গেছে।  এছাড়া আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসে নতুন প্রজাতির করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে করোনার নতুন প্রজাতি কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।  এটি নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করোনার এই নতুন ধরনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

করোনা সংক্রমণ রোধে আমরা আগে যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতাম এখনও তা মেনে চলতে হবে।

যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন-

১. সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধুতে হবে ঘন ঘন।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

২. ঢিলেঢালা মাস্ক পরবেন না। এমন মাস্ক পরতে হবে, যা আপনার মুখের সঙ্গে চেপে বসে থাকে। তিন স্তরের সুতি কাপড়ের মাস্ক পরা সবচেয়ে ভালো। এ ছাড়া সার্জিক্যাল মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। এমন মাস্ক ব্যবহার করা ভালো যা ধোয়া যায়।

৩. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ সময় যে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৪. পর্যাপ্ত সুষম খাদ্যগ্রহণ, প্রোটিন পর্যাপ্ত, ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই খাদ্যতালিকা মেনে চলবেন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

৫. এ সময় কুসুম গরম পানি ও চা কফি পান করুন, গোসলেও ব্যবহার করতে পারেন উষ্ণ পানি ও গরম কাপড় পরিধান করুন।

৬. পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঘুম, হালকা ব্যায়াম ও হাঁটতে হবে। দরজা-জানালা খুলে দিয়ে ঘরে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস ঢোকার সুযোগ করে দিন।

লেখক: হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

Development by: webnewsdesign.com