করোনাভাইরাস হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাস। প্রাণীদের মধ্যে এই ভাইরাস বেশি দেখা যায়। অনেক ধরনের করোনাভাইরাস রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।
মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে এমন ৬টি করোনাভাইরাস এতদিন পরিচিত ছিলো। তবে এখন মানুষ নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। আগে থেকে অপরিচিত এই ভাইরাস নিউমোনিয়াকে মহামারির দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১৯৬০ সালে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাসের মধ্যে মানুষে সংক্রমিত হয় সাতটি ভাইরাস দ্বারা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জ্বর, কাশি ও মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
যেভাবে ছড়ায়
মার্স ভাইরাস ছড়িয়েছিল উট থেকে। মার্স ভাইরাসের জন্য বিজ্ঞানীরা খাটাশ জাতীয় বিড়ালকে দায়ী করেছেন। করোনাভাইরাস তখনই সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসবে যখন কেউ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসবে। ভাইরাসটি কতটা সংক্রামক তার উপর নির্ভর করে কাশি-হাঁচি বা হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি ছুঁয়েছে এমন কিছু স্পর্শ করার পর সেই হাত দিয়ে মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করলে সংক্রমণ হতে পারে। এমনকি রোগীর বর্জ্য থেকে চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হতে পারেন।
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেয়া হয়েছে:
১. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে।
২. বার বার প্রয়োজন মতো সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা ভাইরাস ছড়িয়েছে এমন এলাকা ভ্রমণ করলে সতর্ক থাকতে হবে।
৩. জীবিত ও মৃত গবাদি পশু কিংবা বন্য প্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. ভ্রমণকারী আক্রান্ত হলে হাঁচি-কাশির সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে এবং যেখানে সেখানে থুথু ফেলা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com