চীনের বেশ কয়েকটি শহরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ জনে।এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশেও এটি ধরা পড়ছে। –খবর বিবিসি বাংলার।
করোনাভাইরাস কী?
করোনাভাইরাস এমন এক ভাইরাস, যা সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতোই প্রথমে আক্রমণ করে ফুসফুসে। এই ভাইরাস থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। যার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।রোগটি কতটা মারাত্মক?ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু সংক্রমণ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বেশ খানিকটা সময় লাগে, ফলে আরও অনেক রোগী মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রোগটি কোন প্রাণী থেকে এসেছে?কোনো একটি প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানবদেহে বাসা বেঁধেছে। নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জোনাথন বল বলেছেন, আমরা আগেও দেখেছি, এসব মহামারী যেকোনো প্রাণীর দেহ থেকে এসেছে।কোন প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস?
ভাইরাস কোন প্রাণী থেকে এসেছে তা যদি শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তবে রোগটি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে চীনের উহায়ের দক্ষিণ সমুদ্রের খাবারের পাইকারি বাজারের সঙ্গে।
গবেষকরা বলছেন, চীনের হর্সশু নামে একপ্রকার বাঁদুরের সঙ্গে এই ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।
চীনে কেন?
অধ্যাপক উলহাউজ বলছেন, চীনের বিশাল আকৃতির জনসংখ্যার ঘনত্ব রয়েছে। আর যেসব প্রাণী ভাইরাসটি বহন করে, সেগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
করোনাভাইরাসের লক্ষণ
করোনাভাইরাসের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। তবে এই লক্ষণগুলো খুবই সাধারণ। সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর হয়ে থাকে।
কীভাবে ছড়ায়?
১. এই ভাইরাস একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায়।
২. শারীরিক ঘনিষ্ঠতা এমনকি করমর্দন থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
৩. রোগী জিনিস ধরার পর ভালো করে হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ, ও নাকে হাত দিলে এই রোগ ছড়াতে পারে।
৪. হাঁচি-কাশি থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
১. রোগীর কাছ থেকে আসার পর ভালো করে হাত ধুতে হবে।
২. নাক-মুখ ঢেকে হাঁচুন, কাশুন।
৩. ডিম, মাংস ভালো করে রান্না করুন। রোগীর থেকে দূরে থাকুন।
৪. নিয়মিত হাত ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখুন।
রোগের কোন প্রতিষেধক আছে কী?
এই রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই। তবে রোগটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজ চলছে।
Development by: webnewsdesign.com