করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় পুরো ইউরোপ যেখানে বিপর্যস্ত সেখানে প্রাচীন সভ্যতার আদি ভূমি গ্রিস ব্যতিক্রম। কঠোর লকডাউনের কারণে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে এই সংকটের সময়ে অনেক বিপাকেই রয়েছেন গ্রিসের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
গ্রিসে প্রায় ৩৫ হাজার বাংলাদেশির বসবাস। যাদের বেশির ভাগই ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি ও তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে, করোনার সংকট মোকাবিলায় গ্রিস সরকারের ঘোষিত দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলমান থাকায় অধিকাংশের একমাত্র আয়ের উৎস এখন বন্ধ। যারা ব্যবসা করতেন তারাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
দেশটির প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্ধেকেরও বেশি অবৈধভাবে বসবাস করায় করোনাকালীন গ্রিক সরকারের দেওয়া সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। একে তো নেই উপার্জনের মাধ্যম অন্যদিকে নেই সরকারি প্রণোদনা। আর তাই তাদের একমাত্র ভরসা- গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাস। ইতোমধ্যে, বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় দূতাবাসের মাধ্যমে কষ্টে থাকা অনেক প্রবাসীকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের আরো সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।
এক প্রবাসী বলেন, এখানে যাদের কাগজপত্র আছে সরকার তাদের প্রণোদনা দেয়, বাকি যাদের রিফিউজি কার্ড আছে দিচ্ছি তবে যাদের কিছু নেই তারা অসহায় অবস্থায় আছে।
করোনার দ্বিতীয় থাবায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মারা গেলে তাদের গ্রিসের খ্রিস্টান কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক প্রবাসী জানান, কোনো প্রবাসী মারা গেলে যেন বিমানবন্দর থেকে দেশে পৌঁছানোর পর দাফন-কাফনের ব্যবস্থা যেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বহন করে।
Development by: webnewsdesign.com