কমলগঞ্জে সরকারি নিয়ম নীতি না মেনেই গড়ে উঠেছে কিন্ডার গার্টেন মডেল স্কুল

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

কমলগঞ্জে সরকারি নিয়ম নীতি না মেনেই গড়ে উঠেছে কিন্ডার গার্টেন মডেল স্কুল
apps

সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কমলগঞ্জের সরইবাড়ি গড়ে উঠেছে ইন্টারন্যাশনাল মডেল স্কুল অব এক্সিলেন্স নামে কিন্ডার গার্টেন স্কুল।

পাঠদানের জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তার অনেক কিছু পূরণ না করেই পরিচালিত হচ্ছে এই কিন্ডার গার্টেন। সংকীর্ণ পরিবেশে, খেলার মাঠ না থাকা এবং অদক্ষ শিক্ষক দিয়ে স্কুল পরিচালিত হলেও কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি নেই।

জানা যায়, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি-বাংলার মিশেলে এক হযবরল শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি স্কুল ড্রেসের কথা বলে অভিবাবকদের পকেট কাটার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়মানুযায়ী লাইব্রেরি ও সুপেয়পানির সুব্যবস্থাসহ ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা মানা হয়নি।

সরইবাড়ি করিম বাজার এলাকায় গড়ে উঠা এ কিন্ডার গার্টেন স্কুল ঘুরে দেখা যায়,ভাড়া করা কয়েকটি দোকান কোঠায় সংকীর্ণ পরিবেশে শিশুদের পাঠদান চলছে। যেখানে নেই শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোন খেলার মাঠ ও অন্যান্য সুবিধা।

নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছেন এই কিন্ডার গার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন এডঃ জসিম উদ্দিন। যার ফলে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি নেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। স্থানীয়দের অভিযোগ,এই স্কুলে নেই কোন ভালো শিক্ষক।

এছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের ড্রেসের কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। এবিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল মডেল স্কুল অব এক্সিলেন্স এর প্রতিষ্ঠাতা এডঃজসিম উদ্দিনে সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমরা স্কুলের নিবন্ধনের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি।

আর এখন উনার কথা অনুযায়ী স্কুল পরিচালনা করছি। নিবন্ধন ছাড়া পিএসসি সার্টিফিকেট কি করে আপনার স্কুল থেকে প্রদান করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন বলেন,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন অন্য স্কুলের নামে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের পরিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন।

এবিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন,আমার জানামতে এই প্রতিষ্ঠানে এখনো সরকারি কোন বই দেওয়া হয়নি।

এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা স্কুল পর্রিদশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাতা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন,আমার জানামতে এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি থাকার কথা। যদি না থাকে তাহলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাতা নেয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com