শীতে শরীরে অলসভাব দেখা দেয়। এ সময় সব কাজে আলসেমি চলে আসে। শীতে কাজের গতিও কমে যায়। আবার শরীরচর্চাতেও ভাটা পড়ে এ সময়। শরীরচর্চায় অলসতার কারণেই শীতে ওজন বেড়ে যায়। তবে কী কারণে শীতে শরীরে অলসতা আসে ও ওজন বাড়ে? তার অবশ্য কিছু কারণ আছে, আসুন জেনে নিই-
হরমোনের সমস্যার কারণে ওজন বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শীতে ওজন নিয়ে সমস্যায় পড়েন।শীতে হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
শীতকালে মুখরোচক বিভিন্ন সবজি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। সঙ্গে মজার মজার মিষ্টি পিঠা, অতিরিক্ত কার্ব ও চর্বিযুক্ত খাবার, গরু-হাঁসের মাংস দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি ভীষণ জনপ্রিয়তা পায় শীতে। এসব খাবার শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায়, তাই খেতে সবার আগ্রহ থাকে।
শীতকালে পানির পিপাসা কম লাগে। তাই এই ঋতুতে হাইড্রেট থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। শীতে শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কম করে হলেও ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচত। কারণ পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় এবং ডিহাইড্রেশনের প্রভাবে শরীর দুর্বল লাগে ও ক্ষুধা বেড়ে যায়।
শীতকালে রোদের তেজ কম থাকে। তাই শরীর মেলাটনিন তৈরি করে তুলনামূলক বেশি। এটি মানুষের কাজের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। এর ফলে কায়িকশ্রম কম করতে চান সবাই। একদিকে ঘুমের সময় বেড়ে যায়, অন্যদিকে শরীরচর্চার সময় ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সব মিলে জমতে থাকে মেদ।
প্রাচীন কালে মানুষ যখন শিকার করে খেত তখন শীতের সময়ে খাবারের জোগান কম থাকত। সেই থেকে মানুষের শারীরিক গঠন অন্য রকম হয়ে গিয়েছে।গরমকালে অল্প অল্প করে মেদ জমতে থাকত শরীরে। হিসাব মতো সে মেদ খরচ হওয়ার কথা শীতকালে, যখন প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার অভাব দেখা দিত।
কিন্তু ততটা কঠিন পরিস্থিতি আর নেই আধুনিক পৃথিবীতে। অধিকাংশ এলাকাতেই সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার শীতকালেও পাওয়া যায়, যেমনটা গরমকালেও হরহামেশা হাতের নাগালেই থাকে। সেসব খাবার খাওয়াও হয়। এসব কারণেই মূলত শীতকালে বাড়তি মেদ জমতে থাকে শরীরে।
Development by: webnewsdesign.com