এমপির ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১ | ৬:০২ অপরাহ্ণ

এমপির ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ
apps

রাজশাহীর বাগমারায় এমপি এনামুল হকের ভাই রেজাউল করিম লেদার বিরুদ্ধে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের তিন ইউপি সদস্যের নিকট থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে সংরক্ষিত দু’জন নারী সদস্যকে বসায় গিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এবং একজন পুরুষ সদস্যকে জোর করে তুলে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ অভিযোগ করে ভূক্তভোগী ওই ইউপি সদস্যরা।

এসময় তারা আরও অভিযোগ করে জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসকান আলী আসকানের বিরুদ্ধে ওই তিনজনসহ মোট ৯ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষররক্ত একটি লিখিত অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়। তবে নয়জনের মধ্যে সাতজনেরই ওই অভিযোগে স্বাক্ষর জাল করে দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে অভিযোগ করা হয়। তবে ভাই রেজাউল করিম লেদার এমন অপকর্মের বিরোধিতা করে এমপি এনামুল ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও ভূক্তভোগী সদস্যদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আসকান আলী আসকান। এসময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাকে বাজার থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গত ২১ মার্চ এমপি এনামুলের ভাই রেজাউল করিম লেদা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। পরে তিনি জানতে পারেন ওই স্বাক্ষর দিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রেজাউল করিম লেদা।

সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ ২১ মার্চ রাতে রেজাউল করিম লেদা ১০-১২ জনের একটি দল নিয়ে আমার বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করে। এরপর আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। একই অভিযোগ করেন আরেক নারী সদস্য পলি বেগম। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। কারণ তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। কিন্তু এমপির ভাই জোর করে আমার নিকট থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এমপির কাছেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছি। তিনি আমাদের পক্ষেই আছেন। তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করারও পরামর্শ দিয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ, নুর মোহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান। তবে এমপি এনামুল হকের ভাই রেজাউল করিম লেদা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান আসকান আলী আসকান তার অনিয়ম থেকে বাঁচতে ইউপি সদস্যদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এখন মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছে। আমি কারও স্বাক্ষর জাল করিনি, বা জোর করে নেয়নি।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বাগমারার মাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসকান আলী আসকানের অপসারণ দাবি করে একটি লিখিত দেওয়া হয় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। এতে ৯ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর ছিলো।

Development by: webnewsdesign.com