উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বাংলা প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ‘উসকানিদাতাকে’ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এই দেশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কোনো কিছু থাকলে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ’
সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো এই প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন, সেটি তারও দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে কোনোভাবে। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করছি, এই প্রশ্ন সেট এবং মডারেট করেছেন কে? সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’
রোববার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। ঢাকা বোর্ডের সৃজনশীল প্রশ্নের ১১ নম্বর প্রশ্নে— সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।
তাতে দেখানো হয়েছে, ছোটভাই বিরোধের জেরে বড়ভাইকে শায়েস্তা করতে একজন মুসলিম ব্যক্তির কাছে জমির একাংশ বিক্রি করে দেন। জমি কেনা ব্যক্তি সেই জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং কুরবানির ঈদে সেখানে গরু কুরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতা ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।
এ বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্ন করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে শিক্ষকদের। সাম্প্রদায়িকতার কিছু যেন না থাকে, সেটিও সেই নির্দেশিকায় আছে।’ এমন প্রশ্নকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘যারা চিহ্নিত হবেন এবং যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে এই ধরনের বীজ বপন করবেন, তাদের এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত রাখার প্রশ্ন আসবে না।’
Development by: webnewsdesign.com