উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে নিম্ন রক্তচাপ কম ভয়ের౼এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রোগী সহজেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হতে পারেন। তাই বলে নিম্ন রক্তচাপের বেলায় তাকে অবহেলা করার কোনো কারণ নেই। কারণ, হৃদ্যন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে নিম্ন রক্তচাপও। তাই এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রেশার অতিরিক্ত নেমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদ্পিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রেশার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।দীর্ঘদিন ধরে রক্তচাপ কম থাকলে তা অন্য কোনো অসুখের উপসর্গও হতে পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন রক্তচাপ কমেছে
হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে মাথা ঘোরা, গা গোলানো, মাথা ঝিমঝিম করা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা যায়। এমনকি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে যা করবেন
১. চিকিৎসকদের মতে, যদি মনে হয় রক্তচাপ কমে গিয়েছে, ঘাম হচ্ছে, মাথা ঘুরছে, তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত।
২. কিছুটা লবণ-পানি খেতে পারেন। এমনিতে বলা হয় সোডিয়াম কম খেতে। কিন্তু যাদের রক্তচাপ নেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি হতে হবে একেবারেই উল্টো। লবণ খেলে উঠবে রক্তচাপ।
৩. এ অবস্থায় চেয়ারে বসার পরিবর্তে শুয়ে থাকাই ভালো। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে মাটিতে শুয়ে পড়ে পা দুটি ওপরের দিকে তুলে ফেললে হৃদ্যন্ত্রের দিকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে।
৪. রোগীর ঘাড়ে, কানের লতির দু-পাশে ও চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। এতে তিনি অনেকটাই সুস্থবোধ করবেন। স্নায়ুগুলো আরাম পাবে।
৫. কফি প্রেশার বাড়াতে খুব কার্যকর। ক্যাফিন আছে এমন পানীয় তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই তা কমে গেলে কড়া করে কফি খেতে দিন রোগীকে।
৬. বাড়িতে যষ্টিমধু থাকলে এ অবস্থায় তা খুব কাজে আসবে। এক কাপ পানিতে ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর রোগীকে সে পানি খেতে দিন। যষ্টিমধু রক্তকে শুধু পরিশুদ্ধই করে না; বরং রক্তচাপের ভারসাম্যও বজায় রাখে।
Development by: webnewsdesign.com