সিলেট অফিস থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
সিলেটের আলোচিত ইয়াবা বাপ্পীর নেতৃত্বে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও জিম্মি করে ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ওই ব্যবসায়ীকে মারধরও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ অভিযোগে গত ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) এসএমপির শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ১২/২২৩। অপহৃত ব্যক্তি ও মামলার বাদি হচ্ছেন- সিলেট নগরীর যতরপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. সালেহ আহমদ (৫১)। অভিযুক্ত বাপ্পী ওরফে ইয়াবা বাপ্পী সিলেট নগরীর মজুমদারী এলাকার সিএনজি ড্রাইভার জুবের আলীর ত্যাজ্যপুত্র সন্তান। তার বিরুদ্ধে এর আগেও এসএমপি কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ নং- ১৭৮০। তারিখ ১২/১১/২০১৯।
সালেহের দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর মামলার বাদি সালেহ আহমদ ব্যবসায়ীক কাজে কর্মচারী আবীর আহমদকে সঙ্গে নিয়ে শাহপরাণ থানাধীন খাদিমনগর এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাসা হতে রওয়ানা দেন। শহরতলির মেজরটিলা বাজারে ঢুকার আগেই বাজার সংলগ্ন অবস্থিত ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই সিলেটের আলোচিত ইয়াবা বাপ্পীর নেতৃত্বে ৮/১০টি দশটি মোটরসাইকেল নিয়ে একদল সন্ত্রাসী সালেহের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে এবং বাজারস্থ ফিজা এন্ড কোং এর সামনে নিয়ে গাড়ির পথ একেবারেই রোধ করে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা সালেহ ও তার কর্মচারীর উপর হামলা চালায় এবং হামলাকারীরা সালেহের বাম হাতে রড দিয়ে আঘাত করে। এতে সালেহের বাম হাতের কনুইয়ের উপরের হাড় ভেঙে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা সালেহের কাছ থেকে থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সালেহ ও তার কর্মচারীরর মাথায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের হাত-পা এবং চোখ-মুখ বেঁধে তাদেরকে টুলটিকর ইউনিয়নস্থ মিরাপাড়া বটেরতলের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায়। ওখানে নিয়ে গিয়ে সালেহের প্রাণে মারার হুমকি সালেহের মোবাইল ফোন দিয়েই তার তার স্ত্রীর কাছে কল দিয়ে কৌশলে নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও ৩টি চেকের পাতা আনিয়ে নেয়। এছাড়াও এসময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই ৩টি চেকের পাতায় এমাউন্ট না বসিয়ে সালেহের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয় এবং সালেহকে কিছু অনৈতিক কথাবার্তা শিখিয়ে ও বলিয়ে সেগুলো ভিডিও রেকর্ডিং করে ইয়াবা বাপ্পী ও তার সগযোগিরা। পরে সালেহকে আরেক দফা মারপিট করে অপহরণকারীরা চলে যায়। পরে রাত ৪টার দিকে সালেহ আহত হাত নিয়ে কোনো মতে গাড়ি চালিয়ে নিজের বাসায় নিজের বাসায় আসেন এবং পরবর্তীতে নিজের চিকিৎসা করান।
উল্লেখ্য যে, ইয়াবা বাপ্পী পূর্বেও বিভিন্ন সময় সালেহের কাছে ফোন করে চাঁদা দাবি করেছে এবং হুমকি-ধমকি দিয়েছে। বাপ্পীর বিরুদ্ধে একটি গাড়ি চুরির মামলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকায় মামলাও রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহপরাণ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সালেহ আহমদ নামের এক ব্যবসায়ী বাদি হয়ে অপহরণ এবং ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, উক্ত মামলা দায়েরের পর মামলার বাদি ব্যবসায়ী সালেহের বিরুদ্ধে নানা কটু কথা লিখে নিজের ভুয়া অনলাইনে এবং ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছে ইয়াবা বাপ্পী। প্রশাসনের ভয়ে আন্ডারগ্রাইন্ডে থেকে শুধু ফেসবুক ও ভূয়া অনলাইনে এসব গুজব ছড়াচ্ছে সে। যে কারণে প্রশাসন তাকে হন্য হয়ে খুঁজলেও পাচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
Development by: webnewsdesign.com