নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত নামের তালিকা ছোট করে আনছে সার্চ কমিটি। তালিকা হাতে পাওয়ার পর গতকালই কমিটির সদস্যরা একান্তে বৈঠক করেছেন। কমিটি সূত্র জানায়, তালিকা হাতে পাওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যেসব যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা যাচাই করা হয়েছে। এই যাচাই প্রক্রিয়ায় অনেক নাম বাদ পড়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের পদের চেয়ে উচ্চ পদ থেকে অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম আসলেও তা বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া যোগ্যতার নিরিখে আরও কিছু ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। বিশেষ করে তালিকায় আসা কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম দেখে তারা নিজেরাই বিব্রত হয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন এমন দায়িত্বে যাওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। এ ছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নাম এসেছে তালিকায়। প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অবস্থান অষ্টম। নির্বাচন কমিশনারদের অবস্থান নবম স্থানে। এই অবস্থায় সাবেক প্রধান বিচারপতির এ পদে আসা গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে আরও কিছু নাম এসেছে যারা নিজেরাই কমিশনের পদে যেতে চাইবেন না। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সার্চ কমিটি তালিকা ছোট করে আনার কাজ করছে। সর্বশেষ একটি সূত্রের দাবি গতকাল পর্যন্ত ইসি পদে থাকতে পারেন এমন অর্ধশত ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে। এখন এই নামগুলো নিয়েই পর্যালোচনা হচ্ছে। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা জমা দেয়ার সময় হাতে রয়েছে সার্চ কমিটির। ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিদায়ী কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানে এখন কার্যত শূন্যতা বিরাজ করছে। যদিও এই শূন্যতায় কোনো সমস্যা হবে না বলে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই অবস্থায় ইসি গঠনে খুব একটা তাড়াহুড়ো করছে না সার্চ কমিটি। মেয়াদের মধ্যেই তালিকা জমা দেয়ার চিন্তা করছেন তারা। কমিটি সূত্র বলছে, হাতে যে কয়দিন সময় আছে তাতে নিজেরা বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চার সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকের পর বলা হয়েছিল চূড়ান্ত তালিকা জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত নিবন্ধিত যেসব দল নাম দেয়নি তারা নাম প্রস্তাব করতে পারবে। গতকাল পর্যন্ত এসব দলের কোনো সাড়া মেলেনি। ওদিকে তালিকা হাতে পাওয়ার পর গতকাল প্রথম বৈঠক করেছে সার্চ কমিটি। বিকাল সোয়া ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক হয়।
Development by: webnewsdesign.com