‘ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতি একটি জালিয়াতি পদ্ধতি। দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে হ্যাক করার সুযোগ থাকে। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় না। সরকার দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান ভোট, নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন সব ধ্বংস করেছে।’
আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে গিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জেলার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, মাইনাস টু ফরমুলার সাথে ওবায়দুল কাদেরও বিচ্যুত ছিলেন না। তার মনের পীড়া নিবৃত্ত করার জন্য তিনি বিএনপি’র উপর অভিযোগ দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, সরকারে যারা দলীয় প্রার্থী থাকে তাদের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করে নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়।
ইভিএম পদ্ধতির নেতিবাচক দিক নিয়ে রিজভী বলেন, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এত বড় নির্বাচন হয়ে গেল সেখানেও কিন্তু ইভিএম মেশিনের প্রচলন হয়নি। অন্যান্য দেশে যারা চালু করেছিল তারাও বন্ধ করেছে এবং জার্মানে কোর্টে এ ব্যাপারে একটি মামলা আছে।
সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ওবায়দুল কাদের’র মন্তব্যের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি’র মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের শোকজ করা হয়েছে। এসমস্ত কথাবার্তা তিনি বলেছেন। আমার কথা ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনারা ৭২-৭৫ সালে ক্ষমতায় ছিলেন। সিরাজ শিকদার কি রাজাকার ছিল। আপনাদের ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ শিকদারকে হত্যা করেছেন আপনারা। আপনারা জাসদ সর্বহারা পার্টির অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরুই করেছে এই আওয়ামীলীগ। তারা বড় বড় কথা বলছেন। বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রচারণাকালে কুড়িগ্রাম শহরের এনআর প্লাজা মার্কেটের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রিজভী এসব কথা বলেন।
আগামি ২৮ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বেবু’র পক্ষে বুধবার দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পৌর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান রিজভী। এসময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সাথে প্রচারণায় অংশ গ্রহন করেন।
Development by: webnewsdesign.com