বিপিএল শেষ হতেই ইনজুরিতে পড়েন ইমরুল কায়েস। এবার ইনজুরিতে পড়েছেন জাতীয় দলের ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম। এ ছাড়াও ইনজুরি আক্রান্ত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম অনিক। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ দিন হাঁটুর চোটে মাঠের বাইরে থাকা পেসার খালেদ আহমেদ গতকাল আবারো আঘাত পেয়েছেন। আর বিসিবির ফিজিও ও চিকিৎসকদের তথ্য মতে ইনজুরির কারণে মোট ১৪ জন ক্রিকেটারের কেউ এক ম্যাচ আবার কেউ বা পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগেই (বিসিএল) খেলতে পারবেন না। আগামীকাল শুরু হচ্ছে দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণির ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটের অষ্টম আসর। যেখানে পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে খেলার কথা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। মুশফিক নিজেই পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এমনকি টেস্টেও তিনি সেখানে খেলবেন না। তবে তার আগে ইনজুরি ও জ্বরের কারণে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে খেলা হচ্ছে না মুশফিকের। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ, এটি সত্যি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির জন্য বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা নেই মুশফিকের। দ্রুত ভালো হলে হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবেন। এছাড়ও খালেদ আজ (গতকাল) আবারো ইনজুরিতে পড়েছে । ওকে নিয়ে এখনো তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে টাইগাররা। সবকিছু ঠিক থাকলে পূর্বের সূচি অনুসারে আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। তার এক দিন আগে দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তান পৌঁছবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের টেস্টের জন্য প্রস্তুত করতে অনুশীলন ক্যাম্প না করে সরাসরি বিসিএলে ম্যাচ খেলানো হবে। টেস্ট দলের প্রায় সব সদস্যেরই প্রথম রাউন্ডে খেলার কথা রয়েছে। তবে টেস্টে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেবে দল! ইমরুল ইনজুরিতে, বিসিএলের প্রথম এমনকি দ্বিতীয় রাউন্ডেও ফিরতে পারবেন কিনা নিশ্চিত নয়। তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলামও ইনজুরিতে। তাকে নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সাদমানকে বিসিএল না খেলার জন্য বলেছি। কারণ বেশ কিছুদিন ধরে সে কব্জির চোটে ভুগছে। ব্যথা কমানোর জন্য সোমবার ইনজেকশন নিয়েছে। আমরা তাকে এক সপ্তহাহ বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তার বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় বিসিবিকে বলেছি সাদমানকে বিসিএল’র প্রথম রাউন্ডে না রাখতে।’ তার মানে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সাদমানের খেলা অনেকটাই অনিশ্চিত।
মেহেদী হাসান মিরাজও আছেন ইনজুরিতে। বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে তার খেলার সম্ভাবনা নেই। শঙ্কা রয়েছে হয়তো গোটা সিরিজই থাকতে পারেন মাঠের বাইরে। অফস্পিনার মিরাজ বলেন, ‘চেষ্টা করে যাচ্ছি মাঠে ফিরে আসার। ইনজুরি সারাতে অনেক কাজ করতে হচ্ছে। নিয়মিত ফিজিও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছি। সবাই তো চায় মাঠে খেলার জন্য। এখন কতদিন লাগবে বলতে পারছি না।’ বিপিএলে চোট পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতেরও ইনজুরি থেকে মাঠে ফিরতে লাগবে লম্বা সময়। গতকাল মোসাদ্দেক বলেন, ‘বিসিএলে রান নিতে গিয়ে ডাইভ দিয়েছিলাম। তখনই কাঁধে ব্যথা লাগে। এখনো ভুগছি, সেরে উঠতে লম্বা সময় লাগবে মনে হচ্ছে। এজন্য বিসিএলে আমার নামই নেই। খেলতেও পারবো না এই আসর। রিহ্যাব করে যাচ্ছি দেখি কী হয়।’
অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফরহাদ রেজাও আছেন ইনজুরিতে। বিসিএলের প্রথম রাউন্ড তার খেলা হবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক পরিক্ষিত ক্রিকেটার জহিরুল ইসলাম অমি ও মেহেদি মারুফ খেলতে পারবেন না বিসিএলের শুরুর দুই রাউন্ডে। এছাড়াও ইনজুরিতে আছেন পেসার শফিকুল ইসলাম, মানিক খান, স্পিনার তানভির ইসলামও। আর পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় মাঠের বাইরেই রয়েছেন পেস-অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
দীর্ঘদিন ধরেই হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছিলেন খালেদ আহমেদ। এই পেসার অবশ্য সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার জন্য বলও হাতে তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল ফের ইনজুরিতে পড়েছেন খালেদ আহমেদ। অনুশীলনের সময় বল করতে গিয়ে খালেদ চোট পেয়েছেন বলে জানান বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খালেদ আবারো ইনজুরিতে। এবার কত দিন সময় লাগবে তা এখনো বলতে পারছি না। দেখি ওকে নিয়ে কাজ শুরু করলে বলা যাবে।’
Development by: webnewsdesign.com