যুবলীগের নবনিযুক্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে নালিশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ গিয়াসউদ্দিন।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াসউদ্দিন সাম্প্রতিক সময়ে তার উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে তাকে অবনমনসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিক্সন চৌধুরীর কাছে তুলে ধরেন।
এসময় হোটেল লবিতে নিক্সন চৌধুরীর সাথে ছিলেন তার বন্ধু সাবেক ছাত্রনেতা জাকারুল হাসান মিঠু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিল্টন ওয়ালিদ, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সাজ্জাত হোসেন, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রসংসের সাবেক জিএস জসিম উদ্দিন মিঠু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম শাহাদাত নবী খোকা, জাওয়িদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুবলীগের নবনিযুক্ত যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলমের সংবর্ধনায় যোগ দিতে সোমবার সকাল পৌনে৷ ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে হয়ে সরাসরি রেডিসন হোটেলের নির্ধারিত কক্ষে উঠেন নিক্সন চৌধুরী। এসময় কারো সাথে কথা বলতে চাননি তিনি।
এসময় আগে থেকে হোটেল লবিতে বসে থাকা গিয়াসউদ্দিন চেষ্টা করেও নিক্সনের সাথে দেখা করতে পারেননি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একটু দেখা করতে চান, মিল্টন ওয়ালিদের এমন টেলিফোন-অনুরোধে ১১ টার দিকে লবিতে নেমে আসেন নিক্সন।
নিক্সন চৌধুরীকে কাছে পেয়ে একের পর এক অভিযোগের ঝাঁপি খোলেন গিয়াসউদ্দিন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ছাত্রলীগের ছেলেদের দিয়ে তার উপর হামলা চালানো, মোশাররফের ছেলে মাহবুব রহমান রুহেলকে মিরসরাই যুবলীগের সম্মেলন প্রধান অতিথি করা এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে তাকে স্রেফ সদস্য রাখাসহ একগাদা অভিযোগের কথা জানান নিক্সনকে।
এসময় সঙ্গে নিয়ে যাওয়া দুই যুবলীগ নেতাকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের কমিটিতে পদ পাইয়ে দিতেও এমপি নিক্সনকে অনুরোধ করেন গিয়াসউদ্দিন।
যুবলীগের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আপাতত সুযোগ নেই জানিয়ে নিক্সন চৌধুরী গিয়াসকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে আমার করার কিছু নেই। যুবলীগের কোনো বিষয় হলে সেটা আমি দেখতে পারবো। এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাবেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত থাকা সাবেক ছাত্রনেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি সাজ্জাত হোসেন বলেন, গিয়াসউদ্দিনের নালিশের বিষয়টি ভালোভাবে নেননি এমপি নিক্সন চৌধুরী। বিষয়টি আমার কাছেও দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে।
একজন যুবলীগ নেতার কাছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, দলের প্রবীণ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়াটা হাস্যকর, বেমানান। যুবলীগ নেতা নিক্সন চৌধুরী তো আর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মতো নেতার বিচার করতে পারবেন না। কাজেই এটা করা উচিত হয়নি।-বলেন সাজ্জাত হোসেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গিয়াসউদ্দিন বলেন, মূলত আমার এলাকার যুবলীগের দুই ছেলেকে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নিক্সন চৌধুরীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়েছিলাম। প্রাসঙ্গিকভাবে হয়তো কিছু বিষয় এসে গেছে। প্রকৃতপক্ষে মোশাররফ ভাইকে নিয়ে আমি কিছু বলতে যাইনি।
Development by: webnewsdesign.com