ইউটিউব তারকা খুনের জেরে উত্তপ্ত ইরাক

রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১:১৪ অপরাহ্ণ

ইউটিউব তারকা খুনের জেরে উত্তপ্ত ইরাক
ইউটিউব তারকা খুনের জেরে উত্তপ্ত ইরাক
apps

পিতার হাতে এক ইউটিউব তারকা কন্যা হত্যার ঘটনা নিয়ে ইরাকে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশটিতে এ ধরণের ‘অনার কিলিং’ অনেকটা সাধারণ ঘটনা।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ-মান শুক্রবার জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দিওয়ানিয়ার বাসিন্দা তিবা আল-আলি নামের তরুণীকে তার পিতা গত ৩১ জানুয়ারি হত্যা করেন। ২২ বছর বয়সী আল-আলি তুরস্কে বসবাস করতেন। পারিবারিক বিরোধ মেটাতে সম্প্রতি ইরাকে আসেন তিনি। কিন্তু তার পিতা ‘পরিবারের সম্মান’ রক্ষার্থে তাকে হত্যা করল।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আলি এবং তার পিতার মধ্যকার একটি কথোপকথন পাওয়া গেছে। সেটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, আল-আলি একা তুরস্কে থাকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা নিয়ে তার বাবা ক্ষুব্ধ ছিলেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে মধ্যস্ততার চেষ্টা করেছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ-মান জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আল-আলির পিতা।

আলি ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সেখানে তিনি প্রায়ই তার প্রাত্যহিক জীবন নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করতেন। তুরস্কে তিনি তার প্রেমিকের (বাগদত্ত) সঙ্গে থাকতেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে তাদের এই পারিবারিক বিরোধ চলছিল। ২০১৭ সালে পরিবারের সঙ্গে তুরস্ক যান আলি। কিন্তু তার পরিবার ফিরলেও ফিরতে রাজি হননি তিনি। এরপর থেকেই তুরস্কে বসবাস করছিলেন তিনি।

এদিকে তার খুনের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইরাকিরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছে। দেশটির অনলাইনে আলোচিত টপিক এখন এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনার বিচার চেয়ে আজ রবিবার বড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে অনলাইন এক্টিভিস্টরা।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলা তালাবানি টুইটারে লিখেছেন, আমাদের সমাজের নারীরা আইনী সীমাবদ্ধতা এবং সরকারি পদক্ষেপের অনুপস্থিতির কারণে পশ্চাদপদ প্রথার কাছে জিম্মি। এ কারণে বর্তমানে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েই চলেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ‘ভয়াবহ’ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইরাকি দণ্ডবিধি এখনও সহিংস হামলা এমনকি তথাকথিত ‘অনার ক্রাইম’-এর বিষয়ে কঠিন হতে পারেনি।

অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ডেপুটি ডিরেক্টর আয়া মাজজুব বলেছেন, যতক্ষণ না ইরাকি কর্তৃপক্ষ নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য শক্ত আইন প্রণয়ন করে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড বাড়তেই থাকবে।

Development by: webnewsdesign.com