আয় বাড়লেও কমেছে শেয়ারের দাম

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ২:৪৬ অপরাহ্ণ

আয় বাড়লেও কমেছে শেয়ারের দাম
apps

নজরদারি আর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ে সমালোচনা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে আয় বেড়েছে ফেসবুকের। বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। তবে উল্টো গতি দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারবাজারে। হঠাৎ করেই তাদের শেয়ারের দাম কমেছে ৭ দশমিক তিন শতাংশ। বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুক বলছে, গত বছর প্রতিমাসে বিশ্বব্যাপী ২৫০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেছেন, যা এর আগের বছরের চেয়ে অন্তত আট শতাংশ বেশি। ব্যবহারকারীর সঙ্গে আয়ও বেড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির। ২০১৯ সালের শেষ তিন মাসে তাদের আয় ছিল প্রায় ২ হাজার ১শ কোটি মার্কিন ডলার, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ই-মার্কেটারের প্রধান বিশ্লেষক ডেব্রা আহো উইলিয়ামসন বলেন, গত দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে (ফেসবুক) ঘিরে চলা সব উদ্বেগ সত্ত্বেও এর আয় প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে এবং এটি ব্যবহারকারী বৃদ্ধির হারও ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেখিয়েছে, সমালোচনার মধ্যেও সে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং সেখান থেকে আয় আর ব্যবহারকারী উভয় ক্ষেত্রেই লাভ করতে পারে।

ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপসহ ফেসবুকের প্রতিমাসে ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৮৯ কোটি, যা আগের বছরের তুলনায় অন্তত নয় শতাংশ বেশি। তবে নিজেদের মালিকানাধীন এ দুই প্রতিষ্ঠান থেকে কতটা আয় হচ্ছে, তার বিস্তারিত জানায়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

আয় বাড়ছে, ব্যবহারকারী বাড়ছে, লাভ হচ্ছে, এমনকি সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছিল ফেসবুকের শেয়ার। তারপরও হুট করেই প্রায় সাত শতাংশ নেমে গেছে তাদের শেয়ারের দাম। এছাড়া, আয় বৃদ্ধির হারও কমেছে ফেসবুকের। দুই বছর আগেও তাদের আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৪৭ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। ফলে চাপ বাড়ছে মার্ক জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠানটির ওপর। বিনিয়োগকারীরা তার প্রতিষ্ঠান থেকেই বেশি লাভ করতে পারবেন, এ বিশ্বাস ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসহীনতা এবং তারা ব্যবহারকারীদের তথ্য নিয়ে কী করছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। গত বছর ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতছাড়া করার দায়ে ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করেছিল। এফটিসির ইতিহাসে এটাই এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় জরিমানার ঘটনা।
গত অক্টোবরে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ফেসবুকের বিরুদ্ধে একক বাজার সৃষ্টির অভিযোগে তদন্ত করছে।

Development by: webnewsdesign.com