আর্মেনীয়রা যে কারণে নিজেদের বাড়ি-ঘর পোড়াচ্ছেন

রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০ | ৮:৩৮ অপরাহ্ণ

আর্মেনীয়রা যে কারণে নিজেদের বাড়ি-ঘর পোড়াচ্ছেন
apps

চুক্তি অনুযায়ী টানা ছয় সপ্তাহের চলা যুদ্ধের পর বিরোধীয় অঞ্চল আজারবাইজানকে ছেড়ে দেয়ার কথা আর্মেনীয়দের। সে অনুযায়ী রোববার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে সময়সীমা শেষ হতে যাচ্ছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে আরও ১০দিন সময় বাড়িয়েছে আজারবাইজান।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, বিরোধীয় কালবাজার অঞ্চলের বাসিন্দারা চুক্তি অনুযায়ী তাদের বসতি রোববার ছেড়ে দেয়ার কথা। ওই অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে জাতিগত আর্মেনীয়রা বসবাস করে আসছে। তবে রোববার আজারবাইজান ওই অঞ্চলটি সর্ম্পণ খালি করতে আরও ১০দিন সময় বাড়িয়েছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমত হাজিয়েভ জানিয়েছেন, কালবাজারে আর্মেনীয় বাহিনী ও তাদের অবৈধ বাসিন্দাদের এলাকাটি ছাড়ার জন্য ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিরোধীয় অঞ্চলের মধ্যস্থতাকারী রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের মাধ্যমে আর্মেনীয়া সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে; মানবিক কারণে ইলহাম আলিয়েভ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। আর্মেনিয়ানদের অনেককেই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যানবহনে তাদের মালামাল নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেকেই তাদের বসতি ছেড়ে যাওয়ার আগে তাতে আগুন দেন। শনিবার সীমান্তবর্তী জেলা মারতাকার্টের চারেকতার গ্রামের ছয়টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বাসিন্দারা আর্মেনিয়ায় চলে যাওয়ার আগে তাদের বাড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘এটি আমার বাড়ি। তুর্কিদের জন্য আমি এটি ছেড়ে যেতে পারি না। সবাই তাদের বাড়ি আজ পুড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদেরকে এলাকা ছাড়তে মধ্যরাত পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, আজারবাইজানের বাসিন্দাদের আর্মেনীয়রা তুর্কি বলে সম্বোধন করে থাকে। শুক্রবার চারেকতারের আরও ১০টি বাড়ি পোড়ানো হয়েছিল।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১৯৪ সালে নাগোরনো-কারাবাখ যুদ্ধ যখন শেষ হয়, তখন হাজার হাজার আজারবাইজানি তাদের বসিত হারিয়েছিল। কালবাজারে ওইসব বসতিতে আর্মেনীয়রা দখল করে। আর সেসব বাড়ি ছেড়ে দেয়ার সময় আর্মেনীয়রা সেগুলো আগুনো পোড়াচ্ছে।

Development by: webnewsdesign.com