ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে আবার দেশের বাজারেও বাড়ছে। খাতুনগঞ্জের আড়তে প্রতিকেজি মান ও আকারভেদে ৯৫-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আড়তদাররা বলছেন, পেঁয়াজের বাজার ভারত নির্ভর হয়ে পড়েছে। সেখানে রপ্তানি শুল্ক বাড়লে, দাম বাড়লে আমদানি খরচ বাড়ায় দেশের বাজারে দাম বাড়ে। সীমান্তের স্থলবন্দরের কাছ থেকে বেপারীরা ভারতীয় পেঁয়াজ সংগ্রহ করে খাতুনগঞ্জ, পাহাড়তলী বাজারসহ বিভিন্ন জায়গার আড়তে সরবরাহ ও দর বেঁধে দেন।
সেই দরে বিক্রি করে কেজিপ্রতি কমিশন পান আড়তদার। পাকিস্তান, চীন থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন বাজারে নেই। তবে যেহেতু সংকট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাই বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি করবেন আমদানিকারকেরা। খাতুনগঞ্জের মেসার্স এ এইচ ট্রেডার্সে পেঁয়াজ ৯৫-৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যদিও মূল্য তালিকায় লেখা ১১০-১২০ টাকা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ম্যানেজার বলেন, পার্টি ওই দামে বেচতে বলেছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। তাই কম দামে বিক্রি করে আড়তদারি করছি।
সাফা ট্রেডার্সে ভারতের পেঁয়াজ পাইকারি ৯৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা। এন আলম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার জানান, ভারতের পেঁয়াজ পাইকারি ৯০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বিক্রি হয়েছিল ৭০-৮০ টাকা। মোমিন রোডের সারাহ সুপার শপ নামের একটি মুদির দোকানে শনিবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯৫ টাকা। রোববার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। পাশের মেসার্স হক স্টোরেও পেঁয়াজ ১১০ টাকা। রিকশাভ্যানে খুচরা দোকানের চেয়ে কিছুটা কমে ছোট পেঁয়াজ ১০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
Development by: webnewsdesign.com