আন্দোলনের মুখে বশেমুরবিপ্রবি: আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫:৪০ অপরাহ্ণ

আন্দোলনের মুখে বশেমুরবিপ্রবি: আইসিটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু
apps

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে একের পর এক অান্দোলন৷ এবার আন্দোলনে নামলো শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটি এর শিক্ষার্থীরা ৷

ইনস্টিটিউট স্থায়ী করণ এবং সকল সুযোগের ব্যবস্থা করে পূর্নভাবে ইনস্টিটিউট চালুর দাবীতে আন্দোলনে নামেন তারা ৷
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমি ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন ৷

এসময় তারা জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সকল শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছি ৷ ভর্তির সময় আমাদের বলা হয়েছিল সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে ৷ আমরা সেই আশ্বাসে ভর্তি হলেও আমরা কোনোরকম সুযোগ সুবিধা পাইনি ৷ সব সময় অবহেলিতই রয়ে গেছি ৷ প্রথমে শিবচর একটি কলেজের ভাড়া ক্লাসরুমে ক্লাস নেয়া হতো ৷ তারপর আমরা ক্যাম্পাসে আসি, এখানেও আমরা অবহেলিত ৷ বর্তমানে আমাদের ইনস্টিটিউটে ভর্তি কার্যক্রমও বন্ধ আছে ৷”

 

তারা আরও জানায়, “শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের ইটিই বিভাগকে মূল ক্যাম্পাসের ইটিই বিভাগের সাথে যুক্ত করা হলেও বাকি ২ বিভাগ সিএসই এবং ইইই কে আলাদাই রাখা হয়েছে ৷ কয়েকবার প্রশাসনের সাথে কথা বললেও তারা এব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ৷

এভাবেই শেষ পর্যায়ে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা অধিকার আদায়ের দাবীতে প্রথমে মানবন্ধন এবং পরবর্তীতে অবস্থান কর্মসূচী এবং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি ৷ যতদিন পর্যন্ত দাবী আদায় হবে না, ততোদিন পর্যন্ত আমরা দাবী আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাবো”

এব্যাপারে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটি এর দায়িত্বে থাকা সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. বি কে বালা জানান, “আমি যখন ‘শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ইন্সটিটিউট’ এর দায়িত্বে ছিলাম তখন আমি জানতাম তাদের সকল ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। এখন আমি এই ইন্সটিটিউট এর দায়িত্বে নেই, এখন এই আইসিটি ইন্সটিটিউটের ব্যাপারে কিছুই জানি না।”

 

সনদের ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, “আইসিটি ইন্সটিটিউট থাকলে আইসিটি ইন্সটিটিউট এর সার্টিফিকেটই পাবে তারা। কিন্তু এখন তো আইসিটি ইনস্টিটিউট নেই, তাই তারা আইসিটি ইন্সটিটিউট এর সার্টিফিকেট পাবে না৷”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ইনস্টিটিউটের বর্তমান ডিন ড. মোঃ শাহজাহান জানান, “অবকাঠামো সহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এমন শর্তে ইনিস্টিটিউটটির অনুমোদন দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু সাবেক উপাচার্য নূন্যতম সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করেই ইনিস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে যার ফলে এধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “তাদের অবস্থা দুঃখজনক, কিন্তু এই অবস্থা নিরসনে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো চলতি উপাচার্য হিসেবে আমার ক্ষমতার বাইরে।”

 

উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবির অধীনে তৃতীয় ইনিস্টিটিউট হিসেবে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (বিভাগ) এবং ইলেকট্রনিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ নিয়ে শিবচরে যাত্রা শুরু করে শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি। শিবচরে কোনো ধরনের অবকাঠামো না থাকায় ২০১৯ এর ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে ইনস্টিউটটির অধীনে একশতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com