আন্তর্জাতিক বন দিবস আজ

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক বন দিবস আজ
আন্তর্জাতিক বন দিবস আজ
apps

আন্তর্জাতিক বন দিবস আজ। বন ও বনভূমির নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশেও প্রতিবছর পালিত হয় বন দিবস। বাংলাদেশের বন বিভাগের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী যা ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। এই হিসাবে বনের বাইরের গাছ আমলে নেয়া হয়নি।

বন বিভাগের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বনের বাইরে গাছের পরিমাণ মোট ভূমির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এসব গাছের বেশির ভাগই বেড়ে উঠেছে মূলত সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে। সেই হিসাবে বনের ভেতর ও বাইরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির সাড়ে ২২ শতাংশ।

গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের মতে, পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি। একটি বনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ গাছ থাকে। একজন মানুষের শ্বাস নিতে বছরে ৭৪০ কেজি অক্সিজেন প্রয়োজন।

গড়ে একটি গাছ বছরে ১০০ কেজি পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়। ফলে মানুষের বেঁচে থাকা আর পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা একা হাতেই সামলায় বনাঞ্চলগুলো।

ধূমপায়ীর হারে বিশ্বে ৮ম স্থানে বাংলাদেশধূমপায়ীর হারে বিশ্বে ৮ম স্থানে বাংলাদেশ যেসব দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি ধূমপান করেন তার মধ্যে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ধূমপায়ীর হার ৩৯.১ শতাংশ। এর মধ্যে ১৭.৭ শতাংশ নারী।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ধূমপায়ীর হারে সবার ওপরে রয়েছে নাউরু। এরপরে রয়েছে- কিরিবাতি, তুভালু, মিয়ানমার, চিলি, লেবানন, সার্বিয়া, বাংলাদেশ, গ্রিস, বুলগেরিয়া।

নাউরুতে ধূমপায়ীর হার ৫২.১ শতাংশ, মিয়ানমারে ৪৫.৫ শতাংশ, লেবাননে ৪২.৬ শতাংশ, গ্রিসে ৩৯.১ শতাংশ।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তামাকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে বছরে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ আরও বলছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বলকান অঞ্চলে ধূমপায়ীর হার সর্বোচ্চ। পশ্চিম ইউরোপ ও আমেরিকায় সাধারণত ধূমপায়ীর হার কম দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে চিলি ধূমপায়ীর হারে বিশ্বে পঞ্চম। তবে তামাকের প্রভাব নিয়ে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি ও তামাকবিরোধী প্রচারণার কারণে ধূমপানের হার আগের চেয়ে কমেছে।

Development by: webnewsdesign.com