গৃহপরিচারিকার সন্ধানে রংপুরে এসে খুন হয়েছেন রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ী আরবান হেলথ কেয়ারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার তোশারফ হোসেন পপি।  অপহরণের ৯ দিন পর আজ রোববার সকালে পুলিশ বদরগঞ্জের শ্যামপুর এলাকা থেকে তার  মরদেহ উদ্ধার করে। ১১ জানুয়ারি রংপুরের কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে তার পূর্ব পরিচিত পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম তাকে অপহরণ করে গুম করেছিলেন। ওই কনস্টেবলসহ গ্রেফতার তিন জনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে  আজ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  আরপিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওছার  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও পপির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১১ জানুযারি রাজধানীর এনায়েতগঞ্জ লেন হাজীরবাগের ব্যবসায়ী পপি গৃহপরিচারিকার (কাজের মেয়ে) সন্ধান ও আর্থিক লেনদেনের হিসাব নিকাশ করতে রংপুরে পুলিশ কনস্টেবল রবিউল হোসেনের কাছে আসেন। ওই দিন রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে এলে সেখান থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ীর ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি। পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং করে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রবিউলকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ভগ্নিপতি সাইফুল ও তাদের গৃহপরিচারক বিপুলকে গ্রেফতা করে।

তোশারফ হোসেন পপির ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি জানান, অপহরণের পরপরই তার বড় ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় কনস্টেবল রবিউলের ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তিনি থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।