আজ সিদ্ধান্ত , কে হচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক? 

বৃহস্পতিবার, ০২ জুন ২০২২ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

আজ সিদ্ধান্ত , কে হচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক? 
apps

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যাট হাতে খুবই খারাপ সময় পার করছেন। তাই রান খরা কাটিয়ে উঠতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুমিনুল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন মুমিনুল।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুমিনুল বলেন, শেষ কয়েকটা সিরিজ অধিনায়ক হিসেবে অবদান রাখতে পারছি না। এসময় দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়, নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া ভালো। আপাতত এ কথাগুলো বলে আসছি। আমিতো বলে এসেছি, এখন উনাদের ব্যাপার। কী সিদ্ধান্ত নেবেন উনারা জানেন।

তবে বাংলাদেশের ১১ নম্বর টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলের সরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে নতুন অধিনায়কত্বের বিষয়টি। নতুন অধিনায়কের তালিকায় সবার আগে নাম দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের। রয়েছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে লিটন দাসও। তাহলে কে হচ্ছেন টাইগারদের ১২ নম্বর টেস্ট অধিনায়ক? বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের আজকের সভায় চূড়ান্ত হবে।

মিডিয়ার মুখোমুখিতে বিসিবি পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সরাসরি কারও নাম বলেননি। তবে তার কথায় তালিকায় এগিয়ে সাকিব, সাকিব এখন সব সময় টেস্ট খেলতে চায়। জানি না কেন কথাটা বারবার আসে, সাকিব টেস্ট খেলতে চায় না। সে সব সময়ই বলে, অন্য ফরম্যাটের চেয়ে টেস্ট বেশি উপভোগ করে। আমি বলছি না সাকিবই টেস্ট ক্যাপ্টেন হবে। তামিমও আছে। মাহমুদুল্লাহ যেহেতু ছেড়ে দিয়েছে, মুশফিক আছে। সাকিব নেবে কি না, সেটা বড় ব্যাপার। কে হবে আমি জানি না। সাকিব অধিনায়ক হলে দলে আমূল পরিবর্তন আসবে।

২০১৯ সালে সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় সাদা পোশাকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন হঠাৎ। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে দল পরিচালনা শুরু মুমিনুলের। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন জিম্বাবুয়ে ২টি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি। তার অধিনায়কত্বে টাইগাররা সিরিজ খেলেছে ভারত (১) জিম্বাবুয়ে (২), পাকিস্তান (২), শ্রীলঙ্কা (২), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১) ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (১)। তিন টেস্ট ড্রয়ের পাশাপাশি ড্র করেছে দুটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুমিনুল ১৭ টেস্টে হাজার রানের মাইলফলক গড়তে পারেননি।

নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেও মুমিনুলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ, আমি মনে করি মুমিনুল প্রথমে পারফরমার। অধিনায়ক থাকাকালীন সে সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছে। সে খুবই সিনসিয়ার ছেলে। অধিনায়কত্বও সিনসিয়ারলি করার চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এই কাজগুলো করার সময় ওর খেলার ওপর প্রভাব পড়েছে। আমার ক্যারিয়ারেও এমন একটা সময় এসেছিল, অধিনায়কত্ব করতে করতে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছিল।

আমি বলব, মুমিনুল খুবই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে এখনো অনেক দূর যাবে। তরুণ বয়সে পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করেছে নিজেকে। আশা করছি আগামী সিরিজে আমরা অন্য মুমিনুলকে পাব। ওর রানে ফেরাটা দলের জন্য খুবই জরুরি।

বিসিবির চাপে মুমিনুল দায়িত্ব ছাড়েননি। বিসিবির মিডিয়া চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটো জানিয়েছেন, বিসিবির চাপে মুমিনুল দায়িত্ব ছাড়েননি।কিন্তু বাতাসে গুঞ্জন, বিসিবির চাপে দায়িত্ব ছেড়েছেন মুমিনুল। খালেদ মাহমুদ বলেন, নতুন অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া উচিত দুই বছরের জন্য-অধিনায়ক জুনিয়র না সিনিয়র হবে, সেটা যেই হোক, আমি মনে করি অন্তত দুই বছরের জন্য সময় দেওয়া উচিত অধিনায়ককে।

Development by: webnewsdesign.com