আজহারীর মাহফিলে মুসলমান পরিবারকে হিন্দু সাজিয়ে ধর্মান্তরের নাটক

রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ | ২:১৫ অপরাহ্ণ

আজহারীর মাহফিলে মুসলমান পরিবারকে হিন্দু সাজিয়ে ধর্মান্তরের নাটক
apps

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর পাটোয়ারী বাড়ি তাফসিরুল কোরান মাহফিলে এক হিন্দু পরিবারে ১১জন মুসলমান হওয়ায় নিয়ে মিশ্র প্রতিকিয়া দেখা দিয়েছে। মাহফিলে উপস্থিত লাখো মুসলিমদের ধোকা দিয়ে একটি চক্র অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা মুসলমান পরিবারকে হিন্দু সাজিয়ে ধর্মান্তরের নাটক সাজিয়েছে।

উপজেলা ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোসাম্মদ ফাতেমা বেগমের ছেলে ও নারায়নপুর আঃ হাই ডাক্তার বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে মনির হোসেন কয়েক বছর পূর্বে অবৈধভাবে ভারতে যায়। সেখানে গিয়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে পিকআপ গাড়ি চালায়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভাড়া বাসার মালিকের মেয়ে রেখা অধিকারীকে বিয়ে করে। এর কয়েক মাস পরেই রেখার জেঠাতো বোন সুজাতা অধিকারীকে বিয়ে করে। মনির হোসেনের প্রথম স্ত্রী রেখা অধিকারীর সংসারে মরিয়ম বেগম,শ্যাফালী বেগম,মারিয়া আক্তার,নুসরাত জাহান,জান্নাত আক্তার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা অধিকারীর সংসারে আঃ করিম,আয়েশা আক্তার,আবদুল্লাহ জম্ম হয়।

ভারত থাকাবস্থায় মনির হোসেন দুই বছর পূর্বে তার বড় মেয়ে শ্যাফালীকে তার বোন পারভিন বেগমের ছেলে পারভেজ হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়। কয়েক মাস পূর্বে মনির হোসেন দুই স্ত্রী,সন্তান ও এক নাতি আঃ রহমানকে নিয়ে দেশে ফিরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১ডিসেম্বর-২০১৯ সালে দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের ও ১০ নভেম্বর-২০১৯ সালে মনির হোসেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জম্ম নিবন্ধন নেয়। এলাকাবাসী জানান, মনির হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার ও আয়েশা আক্তার হরিশ্চর মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীতে এবং অন্য মেয়ে আব্দুল্লাহ হরিশ্চর নুরানী মাদ্রাসীতে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারীতে ভর্তি হয়। শুক্রবার মিজানুর রহমান আজহারী মাহফিলে মনির হোসেনকে সংকর অধিকারী,তার স্ত্রী রেখা অধিকারী ও সুজাতা অধিকারী,সন্তান মরিয়মকে মিতালী,শ্যাফালীকে শ্যাফালী বেগম,মারিয়াকে রুপালী,নুসরাতকে কোয়েল,জান্নাতকে শ্যামলী,আঃ করিমকে রাজা,আয়েশা কে সুমা,আবদুল্লাকে রাজেস এবং নাতি আঃ রহমানকে সূর্য দেখিয়ে ধর্মান্তর ঘোষণা দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনির হোসেন বলেন,আমি ভারতে থাকাবস্থায় সংকর অধিকারী পরিচয় দিতাম। দেশে ফিরে পুর্বের পরিচয় দিয়ে একটি অটোরিক্সা নিয়ে দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে জীবন-যাপন করছি। মাহফিল পরিচালনা কমিটির সদস্য আমির হোসেন মেম্বার বলেন,মাহফিল চলাকালীন সময়ে হঠাৎ মাইকে ঘোষনাটি শুনে আমরা মুগ্ধ হলাম। কিন্তু পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে নিজের অপরাধী মনে হয়। উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টন ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপুর্ব কুমার সাহা বলেন,মা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মেম্বার,সন্তানেরা মাদ্রাসাতে পড়ে,বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে,জম্মনিবনন্ধনে সবার পরিচয় মুসলমান হওয়ার পরেও কী ভাবে মাহফিলে গিয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে।

চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন,মাহফিলে ধর্মান্তর ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথেই আমি হতগম্ব হয়ে পড়ি। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী বলেন,সরকার বিরোধীরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ন্যাক্কারজনক কাজটি করেছে।

Development by: webnewsdesign.com