আগামী ৫ বছরে ধীরে ধীরে কমবে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা

সোমবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩:১৩ অপরাহ্ণ

আগামী ৫ বছরে ধীরে ধীরে কমবে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা
apps

টেস্ট নিয়ে দলগুলোর অনাগ্রহ নতুন কিছু নয়। বড় দলগুলো শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা দলের সঙ্গে খেলতে চায় না। যে কারণে দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য থেকেই যায়। আর টেস্ট ক্রিকেটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা গোলাপি বলের টেস্ট চালু হয়েছে। তবে কেভিন পিটারসেনের ধারণা ২০২৬ সালের মধ্যে কমে যাবে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা। সাবেক ইংলিশ তারকা মনে করেন, আগামী ৫ বছরে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া কেউ টেস্ট খেলবে না। সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন পিটারসেন।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে পিটারসেন লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত মন নিয়ে টুইট করছি।

কিন্তু ধীরে ধীরে এটাই হতে যাচ্ছে যে, ২০২৬ সালে কেবল কয়েকটি দেশই টেস্ট খেলবে- ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান!’

সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটারের ধারণা, আগামী পাঁচ বছরে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলো। পিটারসেনের সেই টুইটে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনি কি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নাম শোনেননি?’ জবাবে পিটারসেন বলেন, ‘শুনেছি। কিন্তু তারাও ২০২৬ সালে টেস্ট খেলবে না। কেউই এখন টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহী নয়।’ কিন্তু কেনো? নিউজিল্যান্ডের এক সমর্থক পিটারসেনের টুইটে লিখেন, ‘নিউজিল্যান্ডও? তুমি কী বোঝাতে চাচ্ছো কেপি (কেভিন পিটারসেন)?’

পিটারসেন মনে করেন, টেস্ট খেলুড়ে পুরনো দলগুলোই শুধু এই ফরম্যাটে খেলবে। তিনি বলেন, ‘যে দেশগুলোর টেস্ট ক্রিকেটের অতীত ইতিহাস সমৃদ্ধ, সেই বড় ক্রিকেট বোর্ডগুলোই কেবল ক্রিকেটের এই সংস্করণ বাঁচিয়ে রাখবে। আমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নই। কিন্তু আমি সেটাই বলতে চেয়েছি, যেটা আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।’

Development by: webnewsdesign.com