আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২৬২ গুণ বেশি

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২ | ২:২৬ অপরাহ্ণ

আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২৬২ গুণ বেশি
apps

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার এক বছরের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি দুই–ই বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো থেকে ২৮৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। এ আমদানি ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২৬২ গুণ বেশি।

অন্যদিকে আমদানি বাড়লেও কমেছে রপ্তানি। সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ওই রাজ্যগুলোয় ৬৮০ কোটি ১১ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৬৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার পণ্য। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে গত বছর এ স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৮ কোটি টাকার। এ স্থলবন্দর দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫২৭ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ৯ হাজার ২৯৮ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।স্থলবন্দরটির ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন বলেন, এটি মূলত রপ্তানিমুখী বন্দর। তবে গত অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে গম ও চাল বেশি আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে।

স্থলবন্দর ও কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে মোট ২ হাজার ৭২৩ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৮০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৯৭ কোটি ৭০ লাখ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৪২ কোটি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ৩৩২ কোটি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২১৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি হয়েছে ৩৩ ধরনের পণ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মাছ, পাথর, সিমেন্ট, শুঁটকি, প্লাস্টিক পণ্য, ভোজ্যতেল, পানীয়, তুলা, প্লাস্টিকের ফার্নিচার, চিটা গুড়, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, পাটের সুতলি, পিভিসি শিট, হ্যান্ড পাম্প ইত্যাদি। তবে করোনার প্রভাবে ভারতে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা কমেছে।আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্ব ভারতের আসাম ও গুয়াহাটির সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়েই বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করেন।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গম, চাল, আদাসহ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য আমদানি হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ২০১৭-১৮ সালে ১ কোটি ৭৬ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৬ লাখ ২৯ হাজার, ২০১৯-২০ সালে ১ কোটি ১৭ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৮৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। প্রথম ৫ বছরের আমদানির বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তবে সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

আখাউড়া স্থলবন্দরের তত্ত্বাবধায়ক মো. সামাউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি এ বন্দর দিয়ে গম ও চাল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বন্দর দিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে।

Development by: webnewsdesign.com