আকবর আলী মাদ্রাসা থেকে যেভাবে বিকেএসপিতে

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

আকবর আলী মাদ্রাসা থেকে যেভাবে বিকেএসপিতে
apps

ছোট বেলা থেকে ক্রিকেটের প্রতি আসক্ত ছিল আকবর আলী। ছেলের ক্রিকেটে এমন আসক্তি দেখে ফার্নিচার ব্যবসায়ী বাবা মোহাম্মদ মোস্তফা সিসিসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক আলতাব হোসেনের পরামর্শে লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজে ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন সময়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অসীম মেমোরিয়াল ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন। সেই ক্রিকেট একাডেমির কোচ অঞ্জন সরকারের হাত ধরে তার ক্রিকেটের সত্যিকারের হাতেখড়িটাও হয়ে যায়। সেখানে তিনি ৩ বছরের বেশী সময় প্রশিক্ষণ নেন। ২০১২ সালে দেশের সেরা ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ভর্তি হন আকবর আলি।

তারপর শুধুই তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প।বিকেএসপির বয়সভিত্তিক দলে খেলে সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতাও বাড়তে থাকে সমানতালে।শুধু ক্রিকেট নিয়েই অবশ্য পড়ে থাকেননি আকবর। পড়াশোনাটাও দারুণভাবে করেছেন তিনি। করিমিয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখার হাতেখরি। পরে বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশু নিকেতনে ৫ম শ্রেণী পাশ করে ভর্তি হন লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজে সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া কালীন সময়ে বিকেএসপিতে চান্স পান। সেখানে লেখাপড়া ও খেলাধুলা এক সাথেই চলছিলো। ২০১৬ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পান।

আর ২০১৮ সালে এসএইচসিতে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৪.৪২ পান। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ইংরেজিতে অনার্স পড়ছে সে এখন।আকবর আলীর ছোটবেলার ক্রিকেট কোচ অঞ্জন সরকার বলেন, রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অসীম মেমোরিয়াল ক্রিকেট একাডেমিতে সে ৩ বছরের বেশী ক্রিকেট খেলেছে। আমি শুরুতে ব্যাটিং স্টাইল ও তার মেধায় বুঝেছি সে একদিন বড় ক্রিকেটার হবে। আকবর আলী ব্যাটিং অলরাউন্ডার ছিল। তাকে আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে ক্রিকেট শিখিয়েছি।

তার ক্রিকেটে হাতে খড়ি আমি। সে মেধাবী ও ভদ্র ছেলে। আকবর আলী ভালো নেতৃত্ব দিতে পারে। শুরু থেকে সে হয় সহ-অধিনায়ক অথবা অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে। তার এমন সাফল্যে আমিসহ রংপুরবাসী খুবই খুশি।রংপুর সিটি করপোরেমনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান আকবর শুধু রংপুরের গর্ব নয়, সে এখন সারা বাংলাদেশের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব। তার পথ ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের আগামী তারুণ্য, আগামীর ক্রিকেট। কিং টাইগার আকবর আলীকে গণসংবর্ধনা দেবে রংপুর সিটি কর্পোরেশন। এজন্য আমরা সিটি পরিষদের একটি বৈঠক করবো।

সেই বৈঠকে একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিবো। যে সিদ্ধান্তের আলোকে রংপুরের সকল শ্রেনি পেশার মানুষকে একিভূত করে আমরা গণ সংবর্ধনার তারিখ ঠিক করবো।আকবরের সাথে আলাপ করে ২১ ফেব্রুয়ারীর আগে অথবা পরে আমরা এই তারিখ করতে চাই। এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে এমন যা আগে কখন হয নি রংপুরে। তিনি আকবর আলীর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয় এর বিরল ঘটনায় রংপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

Development by: webnewsdesign.com