অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন, সরাইলে বিদ্যুৎ অফিসে অস্থায়ী লাইনম্যান আসলাম

মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন, সরাইলে বিদ্যুৎ অফিসে অস্থায়ী লাইনম্যান আসলাম
apps

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) কার্যালয়ের অস্থায়ী লাইনম্যান আসলাম খান বিদ্যুৎ খুঁটিতে উঠে ইরিগেশনের লাইন বিচ্ছিন্ন করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসে সে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায়।

গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় সরাইল উপজেলা চুন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আসলাম খান সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের বড় দেওয়ান পাড়া বাসিন্দা। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে সরাইল নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ে অস্থায়ী লাইনম্যান হিসেবে কাজ করছে।

অস্থায়ী লাইনম্যান আসলাম খান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় সরাইল উপজেলা চুন্টা ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামে ইরিগেশনের খুঁটি ভেঙে পরে রয়েছে। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে বিদ্যুৎ অফিসে খবর দেয়, পরে বিদ্যুৎ অফিসে স্থায়ীকর্মচারী লাইনম্যান মহসিন ভূইয়া তার দায়িত্ব সহকারী লাইনম্যান শামছু উদ্দিনকে করতে বলে, শামছু উদ্দিন তার সাথে কাজ করতে নেই অস্থায়ী লাইনম্যান আসলাম খানকে। সেখানে যাওয়ার পরে সহকারী লাইনম্যান আসলাম খানকে বলে ১১ হাজার কেভি খুঁটি উঠে লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য।

তখন শামছু উদ্দিন এস বি এ বাবুল হাসনকে শাটডাউন দিতে বললে সে শাটডাউন দেয়। আসলাম খান খুঁটির উপর উঠার পরে লাইন চালু কর দেয়। আসলাম খান চিৎকার দিয়ে বলে লাইন চালু করছে কেন, সহকারী লাইনম্যান শামছু উদ্দিন তাৎক্ষনিক মুঠো ফোনে এস বি এ বাবুল হাসনকে বললে সে বলে শাটডাউন আছে বলে আবারপুনরায় শাটডাউন দেয় তাঁর পরে আসলাম খান বেঁচে গেলেন।

শাটডাউন নেওয়া সহকারী লাইনম্যান শামছু উদ্দিন বলেন, এজ বি এ বাবুল হোসেন ভুল করে লাইন চালু করে ফেলেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ওইদিন লাইনম্যানের দায়িত্ব থাকা মহসিন ভূইয়া,সে না গিয়ে তার সহকারী শামছু উদ্দিনকে পাঠায়,বিদ্যুৎ অফিসে স্থায়ী লাইনম্যান থাকার পরে এরা অস্থায়ী লাইনম্যান দিয়ে কাজ করায়,আর এরা বসে বসে বেতন নেই। অনেক সময় তাদের প্রতি হিংসার কারণে অস্থায়ী লাইনম্যানের প্রাণ দিতে হয়। তার পরে এরা এটা দূঘটনা বলে চাপিয়ে দেয়।

সরাইল পিডিবি’র অনিয়ম দূর্নীতির উপর অনেক প্রতিবেদন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তদন্তও হয়েছে। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই যেন ভূত রয়েছে! আর তাই দিন দিন ভেস্তে যাচ্ছে গ্রাহকদের সুবিধা। প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের নাম ব্যবহার করে দালালিতেও ব্যস্ত আছেন অনেকে।

গত ২-৩ বছর ধরে সরাইলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কষ্ট ও দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। মিটার বদল, নতুন সংযোগ, প্রিপ্রেইড মিটারের লক খোলা ও টাকা রিফিল করার ক্ষেত্রেও নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা। এতকিছুর পরও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছে না তারা।

এ বিষয় জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) এ জেড এম আনোয়ারুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমি জানার পর থাকে ফোন করি সে আমার কাছে ভুল শিকার করে হ্মমা চাই। ভবিষ্যতে এমন কাছ করবে না।

তিনি আরও জানান, যদি আপনারা চান অফিসিয়াল একশ্যান নেব আর এটা নিয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। এই মূহুর্তে চাপের মধ্যে আছি, যদি চাপ দেন তাহলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে যাব।

তথ্য সূএে জানা যায়, সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিলুকদার পাড়া অস্থায়ী লাইনম্যান রওশন অালী ও তার ছেলে রহুল আমিনকে শাটডাউন নিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য ১১হাজার কেভি খুটি উঠিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য উঠাইয়া বিদ্যুৎ লাইন চালু করে হত্যা করে। পরে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে তাদের পরিবার ও সমাজকে শান্তা দিয়েছিল। এমনটি হতে যাছিল অস্থায়ী লাইনম্যান আসলাম খানের।

বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন অস্থায়ী লাইনম্যান রওশন অালী ও তার ছেলে রহুল আমিন। কিন্তু এসব কর্মী কেউই ঠিক ভাবে ক্ষতিপূরণ পাননি। নিহতের পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পথে বসার উপায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করায় কর্মীরা মারা গেছেন।সে কারণে নিহতদের পরিবার এসব মৃত্যুকে হত্যা হিসেবেই মনে করেন।

হত্যা মামলা যেন না করে সেই জন্য অস্থায়ী হিসেবে রহুল আমিনের ভাই আলামিনকে বিদ্যুৎ অফিসে কর্মচারী রাখে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

Development by: webnewsdesign.com