ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমরা মর্মাহত। খুবই দুঃখজনক ঘটনা এটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য সহায়তা করছে মেয়েটি যেন মনোবল না হারায়। আশা করছি মেয়েটির মনোবল শক্ত থাকবে। অভিভাবক হিসেবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাশে আছি। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে ট্রমা থেকে বের করে নিয়ে আসা।
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ তৎপর আছে। যত দ্রুত সম্ভব নরপশুদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে আহ্বান জানিয়েছি। মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের প্রথম কাজ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আইনগত দিক থেকে যত সহযোগিতা প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় করবে।
রবিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস থেকে নেমে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের ছাত্রী। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খিলক্ষেত থানা এলাকার শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির একটি বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে একা পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেকের ওসিসিতে ভর্তি করান সহপাঠীরা।
Development by: webnewsdesign.com